ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া[/box]

 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ৷ সুপ্রিয় পাঠক! আশা করছি সবাই ভাল এবং সুস্থ আছেন ৷ আপনি ইসলামের চমৎকার একটি আইডিয়া সালাতুল ইস্তেখারা সম্পর্কে জানতে চান ৷ আমরা বক্ষমান আর্টিকেলে ইস্তেখারা নামাজ নিয়ে অদ্যপান্ত আলোচনা করব ৷ ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিত তুলে ধরবো ৷ এই নামাজ কেন পড়তে হয় ৷ কখন পড়তে হয় ৷ কিভাবে পড়তে হয় ৷ কোন জায়গায় এই নামাজ পড়তে হবে ৷ এই নামাজের ফলাফল কি ৷ বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে ইনশাআল্লাহ ৷ ধৈর্য সহকারে পুরো নিবন্ধটি পাঠ করুন ৷ ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা কি?[/box]

ইস্তেখারা শব্দটি আরবি ৷ استخار এর আভিধানিক অর্থ হল: কোন বিষয়ে কল্যাণ কামনা করা ৷ মঙ্গল চাওয়া ৷ ভালোর প্রার্থনা করা ৷

আরও পড়ুনঃ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

যখন কোন মোবাহ বা জায়েজ কাজের ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় ৷ যেমন: কোথায় বিয়ে শাদী করব ৷ বিদেশ যাত্রা করব কিনা ৷ কোন চাকরিতে জয়েন হবো ইত্যাদী বিষয়ে মন স্থির করতে না পারলে বিশেষ পদ্ধতিতে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করাকে ইস্তিখারা বলে ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]শরীয়তের পরিভাষায় ইস্তেখারা কাকে বলে?[/box]

ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া
ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া

ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় ইস্তেখারা বলা হয় ৷ দু রাকআত সালাত এবং বিশেষ একটি দোয়ার মাধ্যমে জটিল ও কঠিন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার পরামর্শ কামনা করা ৷ দুটি অথবা দুইয়ের অধিক কোন বিষয়ের কোনটি অধিকতর কল্যাণকর ৷ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করার নামই ইস্তেখারা ৷ কল্যাণকর বিষয়ের দিকে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করার নামই ইস্তেখারা ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারার নামাজ কখন পড়তে হয়[/box]

মানুষ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে ৷ কেননা সে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানেনা ৷ এটা ভবিষ্যতে তার জন্য কল্যাণকর হবে নাকি ক্ষতির কারণ হবে সেটা বুঝতে পারে না ৷ এই কারণে ইস্তেখারা করাটা সবচেয়ে মোবাহ বা জায়েজ কাজের জন্য জরুরী ৷ কারণ ফরজ বিধানের ক্ষেত্রে কোনো ইস্তেখারা নাই ৷

বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে ইস্তেখারা শিক্ষা দিতেন, যেভাবে তিনি কুরআন শিক্ষা দিতেন ৷ এর গুরুত্ব এতটা বেশি যে কুরআন শিক্ষা দেওয়ার মতো করে বিশ্বনবী সা: ইস্তেখারা শিক্ষা দিতেন ৷ তারা যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইস্তেখারা করতেন ৷ আমরা হাদিসের বিভিন্ন ঘটনা দেখি সাহাবায়ে কেরাম যখনই কোনো সমস্যায় পড়ে যেতেন ৷ তখনই দু’রাকাত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতেন ৷ আমাদের জীবনেও এই আমলটা আনা জরুরি ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা নামাজের সময়[/box]

আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি ৷ এর সময় নির্ধারিত ৷ কিন্তু ইস্তেখারা নামাজের কোনো ধরাবাধা সময় নির্ধারিত নেই ৷ নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত এই নামাজ যে কোন সময় পড়া যায় ৷ এই নামাজ নফলের হুকুমেই পড়ে ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা নামাজ কেন পড়ে?[/box]

কোন মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ইস্তেখারা করে ৷ যে কাজটি সে ইচ্ছে করলে করতেও পারে আবার নাও করতে পারে ৷ একাজের জন্য ইসলাম তাকে বাধ্য করেনি ৷ ঐচ্ছিক বিষয় কিন্তু তার জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ চাকরি-বাকরি, বিয়ে-শাদী ও ঘরবাড়ি স্থাপন এজাতীয় কাজ ৷

পার্থিব জীবনে সে অনেক কাজের সম্মুখীন হয় এবং সে ক্ষেত্রে কোনটা প্রাধান্য দেবে তার সলিউশন সমাধান পাওয়ার জন্য ইস্তেখারা করা হয় ৷ কোন হালাল চাকরি সে নিবে ৷ কোন চাকরিতে তার জন্য কল্যাণ রয়েছে ৷ কোন কলেজ ইউনিভার্সিটি বা কোন মাদ্রাসায় ভর্তি হলে তার জন্য ভালো হবে ৷ বীর্য বিয়ে-শাদী করা অত্যন্ত জরুরী ৷ কোন মেয়েকে বিয়ে করলে তার দাম্পত্য জীবন সুখের হবে ৷ বসতি স্থাপন করলে তার জন্য কল্যাণকর হবে ৷ এ সকল বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা সাহায্য কামনা করে ইস্তেখারা করে ৷

ধরুন আপনি চার পাঁচ জায়গায় চাকরির জন্য সিভি পাঠিয়েছে ৷ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছেন ৷ আপনাকে দুই তিন জায়গা থেকে অফার করা হয়েছে ৷ এবং সে চাকরির বেতনের কিছুটা তারতম্য রয়েছে ৷ কোনটায় বেতন বিশ হাজার ৷ কোনটায় পঁচিশ ৷ আবার কোনোটায় বেতন ত্রিশ হাজার ৷

এখন আপনি কোন চাকরিটা নিবেন ৷ সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি টা কি আপনি নিবেন? নাকি কম? কী করবেন এই মুহূর্তে? কি সিদ্ধান্ত নিবেন? সবচেয়ে বেশি বেতনের চাকরি সবার কাছে আকর্ষণীয় মনে হবে ৷ কিন্তু কল্যাণ এবং সাফল্য আছে কিনা সেটা আমার আপনার জানা নেই ৷ সেটা জানেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ৷ আপনি আল্লাহর কুদরতের সাহায্যে সিদ্ধান্ত নিবেন ৷ কোন চাকরিটা আপনাকে নিতে হবে ৷ কোন চাকরিতে আপনার জন্য কল্যাণ আছে ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]কোন কাজে ইস্তেখারা জায়েজ নয়[/box]

কোন ফরয-ওয়াজিব বিধানের ক্ষেত্রে ইস্তেখারা জায়েজ নয় ৷ কেননা এ সকল কাজ তাকে অবশ্যই করতে হবে ৷ কোন হারাম কাজে ইস্তেখারা নাই ৷ কেউ যদি সুদী ব্যাংকে চাকরির অফার পায় ৷ এক্ষেত্রে এস্তেখারা করা জায়েজ নয় ৷

কেননা সুদী ব্যাংকে চাকরি করা হারাম ৷ কোন মেয়ে যদি এই চিন্তা করে হিজাব সে পরবে কি পরবে না ৷ এবার ইস্তেখারা করে নিই ৷ এটা তার জন্য বৈধ হবে না ৷ কেননা হিজাব পরিধান করা তার জন্য ফরজ ৷ পর্দা তার জন্য ফরজ বিধান ৷ এক্ষেত্রে এস্তেখারার কোনো প্রয়োজন নেই ৷ বরং তাকে অবশ্যই পালন করতে হবে ৷

একজন হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করা যাবে কিনা এ ব্যাপারে ইস্তেখারা নাই ৷ কেননা কাফির মুশরিকদের বিয়ে করা হারাম ৷ জাকাত, হজ আদায় করবে কিনা এ ব্যাপারে ইস্তেখারা নাই ৷ এটা সমর্থকদের জন্য ফরজ ৷ পিতা মাতার খেদমত করবে কিনা ৷ এখানে ইস্তেখারা নাই ৷ দেশে বহিঃশত্রুর আক্রমণ হলে দেশ রক্ষায় জিহাদ করবে কিনা এ ব্যাপারে ইস্তেখারা নাই ৷ আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের আন্দোলন করা সবার জন্য ফরজ ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা নামাজের নিয়ম[/box]

দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে মনোযোগের সাথে ইস্তেখারার দোয়া পাঠ করা ৷ এরপর মনের মাঝে যে দিকে ঝোঁক সৃষ্টি হয় ৷ কিংবা যে বিষয়টি অধিক কল্যাণ জনক মনে হয় ৷ তাতে কল্যাণ নিহিত রয়েছে মনে করে সেটা করা ৷ এক দিনে মনের অবস্থা এরূপ না হলে টানা সাতদিন পর্যন্ত করা ৷ তারপরও মন কোনোদিকে না ঝুঁকলে ৷ ভালো-মন্দ বিবেচনা পূর্বক কাজ করে ফেললে ইস্তেখারার বরকতে এবং আল্লাহর রহমতে মঙ্গল হবে ৷

ইস্তেখারার দোয়া
ইস্তেখারার দোয়া

عَنْ جَابِرٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا الاِسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كُلِّهَا كَالسُّورَةِ مِنَ الْقُرْآنِ ‏ “‏ إِذَا هَمَّ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ، وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ، وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ، وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاقْدُرْهُ لِي، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِيَ الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ، ثُمَّ رَضِّنِي بِهِ‏.‏ وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ ‏”‏‏.‏

হযরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত :
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের সকল কাজের জন্য ইস্তিখারা শিক্ষা দিতেন, যেমনভাবে তিনি কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। (বলতেন) যখন তোমাদের কারো কোন বিশেষ কাজ করার ইচ্ছে হয়, তখন সে যেন দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করে এরূপ দু‘আ করে। (অর্থ) : হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের দ্বারা আমার উদ্দিষ্ট কাজের মঙ্গলামঙ্গল জানতে চাই এবং আপনার ক্ষমতা বলে আমি কাজে সক্ষম হতে চাই। আর আমি আপনার মহান অনুগ্রহ প্রার্থনা করি। কারণ, আপনি ক্ষমতাবান আর আমার কোন ক্ষমতা নেই এবং আপনি জানেন আর আমি জানি না। আপনিই গায়িব সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন।

হে আল্লাহ! যদি আপনার জ্ঞানে এ কাজটিকে আমার দ্বীনের ব্যাপারে, আমার জীবন ধারণে ও পরিণামে- রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন- আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক দিয়ে মঙ্গলজনক বলে জানেন তাহলে তা আমার জন্য নির্ধারিত করে দিন। আর যদি আমার এ কাজটি আমার দ্বীনের ব্যাপারে, জীবন ধারণে ও পরিণামে- রাবী বলেন, কিংবা তিনি বলেছেন- দুনিয়ায় আমার বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক দিয়ে আপনি আমার জন্য অমঙ্গলজনক মনে করেন, তবে আপনি তা আমা হতে ফিরিয়ে নিন। আমাকেও তা হতে ফিরিয়ে রাখুন। আর যেখানেই হোক, আমার জন্য মঙ্গলজনক কাজ নির্ধারিত করে দিন। তারপর আমাকে আপনার নির্ধারিত কাজের প্রতি তৃপ্ত রাখুন। রাবী বলেন, সে যেন এ সময় তার প্রয়োজনের নির্দিষ্ট বিষয়ের কথা উল্লেখ করে।(আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৩৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮২৭)

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারার দোয়া বাংলায়[/box]

ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া
ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া

আল্লাহুম্মা ইন্নী-আস্তাখিরুকা বি-ইলমিকা ওয়া আস্তাকদিরুকা বি-কুদরাতিকা ওয়াআসআলুকা মিনফাদলিকাল আযীম, ফা-ইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু, ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ূব।

আল্লাহুম্মা ইনকুন্তা তা’লামু আন্না “হাযাল আমরা” খাইরুল্লি ফীহ- দ্বীনী ওয়া মা’আশী ওয়া আক্বিবাতি আমরী, ফাকদুরহুলী ওয়া-্ইয়াসসিরহু লী, সুম্মা বা-রিকলী ফীহি, ওয়া ইন কুনতা তা’লামু আন্না হাযাল আমরা শাররুল্লী ফী দীনী ওয়া মা’আশী ওয়াআকীবাতি আমরি,ফাসরিফহু আন্নী ওয়াসরীফনী আনহু ওয়াকদির লিয়াল খাইরা হাইসু কানা সুম্মা আরদিনী বিহী।

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]ইস্তেখারা নামাজের জরুরি মাসআলা[/box]

 

  • প্রথমে অজু করে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করে পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করুন ৷
  • নামাজ শেষ করে ইস্তেখারার জন্য বিশেষ দোয়াটি কায়মনোবাক্যে পাঠ করুন ৷ এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করুন ৷
  • দোয়া মুখস্থ না পারলে দেখে দেখে পাঠ করুন ৷ তবে মুখস্থ পাঠ করাই উত্তম ৷
  • ইস্তেখারা সালাতের পরে সিদ্ধান্তে উপনীত হবার জন্য স্বপ্ন দেখা আবশ্যক নয় ৷ সঠিক পথে চলার স্বপ্নের মাধ্যমে ইঙ্গিত পেতে পারেন ৷ এর বাহিরেও আপনার মনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন সঠিক ফয়সালা ঢেলে দিতে পারেন ৷
  • মন যেদিকে প্রবলভাবে থাকে সেদিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে অটল-অবিচল থাকুন ৷ কেননা আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেন: “আর যখন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ফেল তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর।” [সূরা আলে ইমরান: ১৫৯]
  • সালাতুল ইস্তেখারা নিজের জন্য নিজেই পড়তে হবে ৷ একজনের ইস্তেখারার নামাজ অন্যজন পড়তে পারবে না ৷ তবে একে অপরের জন্য কল্যাণের দোয়া করতে পারবে ৷
  • সালাতুল ইস্তেখারা অন্যায় বা হারাম কাজের জন্য করা জায়েজ নাই ৷ অবৈধ কাজের জন্য সালাতুল ইস্তেখারা বৈধ নয় ৷

শেষ কথাঃ

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

2 thoughts on “ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম | এস্তেখারার নিয়ত ও দোয়া

  1. মাশাআল্লাহ । অনেক সুন্দর একটি লেখা পড়লাম । আশা করছি নিয়মিত চমৎকার চমৎকার লেখা আপনার সাইটে পাব ইনশাআল্লাহ । জাযাকুমুল্লাহ খাইর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *