ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত | মাওলানা দীদার মাহদী

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ৷ সুপ্রিয় পাঠক! কেমন আছেন? পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ৷ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সিরাত চর্চা বাংলাদেশের আপমার জনতার কাছে একটি জনপ্রিয় বিষয় ৷ পুরো রবিউল আউয়াল মাস জুড়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিরাতুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৷

চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়ার কৌশল

রাসুলের জীবনী নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা এবং তা মানব জীবনে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়াস চলছে ৷ যেহেতু রবিউল আউয়াল মাসে বিশ্বনবী সঃ এর জন্ম এবং মৃত্যু হয়েছে ৷ সে কারণে অনেকেই ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেন
৷ নবীজির জন্মে খুশি হওয়াটা মুমিনের অন্যতম একটা ঈমানী চেতনা ৷ আমরা অবশ্যই বিশ্ব নবীর জন্মে আমরা খুশি ৷ কিন্তু এই উপলক্ষে কোনো ঈদের আয়োজন আছে কিনা তা আমাদের জানা দরকার ৷

পুরো রবিউল আউয়াল মাস জুড়ে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কেন্দ্র করে দুটি দল মুখোমুখি অবস্থান করে ৷ একপক্ষ সিরাতুন নবীর গুরুত্ব বয়ান করে ৷ রাসূলের জীবনী আলোচনা করে তা বাস্তব জীবনে বাস্তবায়নের কথা বলে ৷ অপরপক্ষ বিশ্ব নবীর জন্মে খুশি হয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের কথা বলে ৷ জশনে জুলুসের আয়োজন করে ৷ মিছিল করে ৷ বিশ্ব আশেকে রাসুলের নামে একদল লোক জন্মদিন পাল পালনের জন্য বিশাল কেক কেটে আয়েশ করে উদযাপন করে ৷
প্রিয় পাঠক! বর্তমান নিবন্ধে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন শরীয়ত সম্মত কিনা ? ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা জায়েজ কিনা? ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বেদাত কিনা? এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসহ আলোচনা করার প্রয়াস চালাবো ইনশাআল্লাহ ৷ আশা করছি জানার ভুল থাকলে দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ ৷

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত
ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত

ঈদে মিলাদুন্নবি অর্থ কী?

মীলাদ শব্দের অর্থ “জন্ম”। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদে মীলাদুন্নবী অর্থ হলো নবী সঃ এর জন্ম উপলক্ষে আনন্দ।

বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনে হয় এটা তো ভালো জিনিশ। নবী করীম সাঃ এর আগমন হয়েছে পৃথিবীতে এই দিনে। অবশ্যই এটা খুশির দিন।

কিন্তু ইসলাম শুধু আবেগ দিয়ে হয় না। ভালোবাসা থাকতে হবে শরয়ী নির্দেশনা অনুযায়ী। যেমন মনে করুন আপনি আল্লাহকে খুব ভালোবেসে ফজরের নামাজ চার রাকাত আদায় করলেন। এটা আপনার ভালোবাসা হয় নি। ভালোবাসা হলো আদেশ নিষেধ সঠিকভাবে মান্য করার মাঝেই।

কুরআন হাদিসে ঈদ শুধুমাত্র দুটি ই আছে ঈদে মিলাদুন্নবী নামের কোনো ঈদ কুরআন হাদিসে পাওয়া যায় না।

যদিও ঈদ মেনে নেয়া হয় তবে ঝামেলা আরও বেশি। কেননা নবীজী সাঃ এর জন্ম তারিখ নিয়ে মতানৈক্য র‍য়েছে। এক বর্ণনায় ৩ রবিউল আউয়াল, আরেক বর্ণনায় ৯ রবিউল আউয়াল আছে। পক্ষান্তরে রাসূল সাঃ এর ওফাত ১২ই রবিউল আউয়াল হয়েছে এটা সুনিশ্চিত।

সুনিশ্চিত মৃত্যুর দিনে সম্ভাব্য জন্মের আনন্দ করা বোকামি বৈ কিছুই নয়।

তবে আমাদের দেশের অধিকাংশ লোকেরা নবীজীকে ভালোবেসেই এটা পালন করে থাকে। কিন্তু ভালোবাসার সঠিক পন্থা তাদের অজানা। আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন ৷

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করাটা কি আদৌ জরুরী?

নবীজির জন্মদিবস উপলক্ষে আমাদের দেশসহ উপমহাদেশের বহু সংখ্যক মানুষ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করে থাকেন। এ কাজ ধর্মের নামে চালালেও ধর্মে এমন কোন কাজ স্বীকৃত নয়। কেননা তা ধর্মের মাঝে নব আবিষ্কৃত বিষয়। ইসলামী পরিভাষায় একে বিদআত বলা হয় – যা অবশ্য পরিত্যায্য।

এ ঈদ পালনকারীদের অনেক ভ্রান্ত দাবীর মাঝে একটি দাবী হল যে, এটা নবীজীর (স.) প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আসলে কি তাই?

নবীজীকে শ্রদ্ধা করার উপায় হচ্ছে তাঁর আনুগত্য করা, তিনি যেমনটি আদেশ করেছেন, তেমনটি করা আর তিনি যা নিষেধ করেছেন তা পরিত্যাগ করা; বিদাত, কল্পকাহিনী এবং পাপাচারের মাধ্যমে তাঁকে সম্মান করতে বলা হয়নি। মিলাদুন্নবী উদযাপন এরকমই এক দূষণীয় কাজ, কারণ এটা একধরনের পাপাচার। নবীজীকে(স.) যারা সবচেয়ে বেশী শ্রদ্ধা করেছিলেন, তারা ছিলেন সাহাবীগণ। যেমনটি উরওয়াহ ইবনে মাসউদ কুরাঈশদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন:

‘হে লোকসকল! আল্লাহর কসম আমি রাজরাজড়াদের দেখেছি। আমি সিজার, কায়সার এবং নেগাসের দরবারে গিয়েছি, কিন্তু আল্লাহর শপথ, আমি এমন কোন রাজা দেখিনি যার সাথীরা তাকে এতটা সম্মান করে, যতটা গভীরভাবে মুহাম্মাদকে(সঃ) তাঁর সাথীরা শ্রদ্ধা করে। আল্লাহর শপথ তাঁর কোন থুথুও মাটিতে পড়ত না, বরং তাঁর সাথীরা হাত দিয়ে ধরে নিতেন এবং তা তাদের চেহারা ও ত্বকে বুলিয়ে নিতেন। যদি তিনি তাদেরকে কোন আদেশ দেন, তবে তারা সেটা পালন করার জন্য দ্রুতগামী হয়। তাঁর ওযুর সময় তারা ওযুর পানি গ্রহণ করার জন্য প্রায় লড়াই করতে উদ্যত হয়। তিনি কথা বললে তাঁর উপস্থিতিতে তারা তাদের কন্ঠস্বরকে নীচু করে ফেলে। এবং তারা গভীর শ্রদ্ধাবোধের কারণে তাঁর দিকে সরাসরি তাকিয়েও থাকে না।’ (বুখারী)

তাঁর প্রতি এত শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও সাহাবারা কখনও মিলাদুন্নবীর দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করেননি। যদি ইসলামে একে পালন করার উৎসাহ দেয়া হত, তবে তারা কিছুতেই একে অবহেলা করতেন না। বড় কথা হল, ১২ রবিউল আউয়াল যে নবীজির জন্মদিবস – এ কথা প্রমাণসিদ্ধ নয়। বরং এ বিষয়ে পূর্বসূরি ওলামায়ে কেরাম যথেষ্ট মতবিরোধ করেছেন। এখন কথা হল, এ দিবস যদি আসলেই পালনীয় কিছু হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম থেকে এর কোন না কোন বর্ণনা অবশ্যই পাওয়া যেতো। নিশ্চয়ই সাহাবায়ে কেরাম পরবর্তী যুগের মুসলমানদের চেয়ে নবীজিকে বেশি ভালবাসতেন।

প্রতিবছর রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ বিপুল উৎসাহে মিলাদ মাহফিল উদযাপন করা হয়। যেন মিলাদুন্নবীর উৎসব পালন করা নেকির কাজ। অথচ এই মিলাদের কথা কুরআন ও সহীহ হাদীস এবং ফিকাহ শাস্ত্রের কোনটিতেই নেই। মোট কথা,

খোলাফায়ে রাশিদীনের ৩০ বছর, সাহাবীগণের ১২০ বছর, তাবিঈদের ১৭০ বছর এবং প্রায় তাবে-তাবিঈগণের প্রায় ২০০ বছরকাল পর্যন্ত এই মিলাদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না।

অথচ দুনিয়ার বুকে প্রকৃত নবীপ্রেমের উজ্জ্বল নিদর্শন তারাই রেখে গেছেন। যে কাজ শ্রেষ্ঠ যুগে উত্তম ও নেকির কাজরূপে কোনো সময় পালিত হয়নি, তা আজ কী রূপে অসীম বরকতরূপে গণ্য হতে পারে? তাই এই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করা হলো-

নবী (সা.) এর সময়, খোলাফায়ে রাশিদিনের সময় এবং উমাইয়া খলিফাদের সময়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উৎসব ছিল না। আব্বাসীয় খলিফাদের যুগে বাদশা হারুনুর রশীদের মাতা খায়জুরান বিবি (১৭৩ হিজরী) মদীনা শরীফে নবী (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত করার ও সেখানে দরূদ ও দু’আ পাঠ করার যে ব্যবস্থা রয়েছে, ঠিক সেভাবে নবী (সা.) মক্কায় যে ঘরে ভূমিষ্ট হয়েছিলেন, সেই ঘরটির জিয়ারত ও সেখানে দু’আ করার প্রথা সর্ব প্রথম চালু আব্বাসীয় খলিফাদের যুগে বাদশা হারুনুর রশীদের মাতা খায়জুরান বিবি (১৭৩ হিজরী) করেন।

পরবর্তী কালে ১২ রবিউল আওয়ালে ঐ নারীর নেতৃত্বে র্তীথযাত্রীগণ প্রতি বছর নবী (সা.) এর জন্ম দিবস ধরে নিয়ে ঐ ঘরে আনন্দোৎসব পালন করেন। (ইবনে জারীর- ১১৪-১১৫পৃঃ)

অতঃপর হিজরী ৪০০ শতকে উবাঈদ নামে এক ইহুদী ইসলাম গ্রহণ করে তার নাম রাখে ওবায়দুল্লাহ। তিনি নিজেকে ফাতেমা রাঃ. এর বংশধর বলে দাবি করেন এবং মাহাদি উপাধি ধারণ করেন। এরই প্রপৌত্র (পৌত্রের ছেলে) মুয়ীযলি-দীনিল্লাহ ইহুদী ও খ্রিস্টানদের অনুকরণে ৫ রকম জন্মবার্ষিকী ইসলামে চালু করেন।

মিসরে ফাতেমী শিয়া শাসকরা মুসলিমদের মধ্যে জন্ম বার্ষিকী পালনের রীতি চালু করেন। মিসরে শিয়া খেলাফতের প্রতিষ্ঠাতা আবু মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ ইবনু মাইমুন জন্মসূত্রে প্রথমে ইহুদী ছিলেন। যেমন, তাদের ঐতিহাসিক প্রসিদ্ধ শিয়া ব্যক্তিত্ব হলেন আবদুল্লাহ বিন সাবা। সেও ইয়েমেনের একজন ইহুদী ছিলেন। ইসলাম গ্রহণ করার পরও চিন্তা চেতনায় ইহুদী মতবাদ তাদের মাঝে বিদ্বমান ছিল। (আলহিদায়া ওয়ান নিহাইয়া- ১১/১৭২)

ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের ইতিহাস

ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের ইতিহাস
ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের ইতিহাস

ইতিহাস থেকে জানা যায় মিসর সম্রাট ফেরাউন ইহুদীদের মাঝে জন্মবার্ষিকী রীতি প্রথম প্রচলনকারী, আর সে নিজেও একজন ইহুদী ছিলেন। ঐ ইহুদীর রীতি খ্রিষ্টানদের মধ্যে ইহুদীরাই প্রথম চালু করে। ফলে খ্রিষ্টানরা তাদের মধ্যে ঈসা (সা.) এর জন্মবার্ষিকী “ক্রিস মাস ডে” পালন করে থাকে।

মুসলিমদের মাঝে এই জন্মবার্ষিকী চালু হওয়ার পর আফজাল ইবনু আমিরুল জাইশ (৪৮৫-৫১৫) মিসরের ক্ষমতা দখল করে এই মীলাদুন-নবীসহ আরও ৫টি (আলী রাঃ., ফাতেমা রাঃ., হাসান রাঃ., হোসাইন রাঃ, জাইনুল আবেদীন রাঃ.) জন্মবার্ষিকির প্রথা বাতিল করে দেন। (আহসানউল কালাম ফি হায়াতি আমা-লিল আলাকু বিস সুন্নাতি ওয়াল বিদআতি -৪৪-৪৫ পৃঃ)

৫১৫ হিজরীতে শিয়া খলিফা আমির বিল আহ-কা-মিল্লা তা পুনরায় চালু করেন। পরবর্তীতে কুরআন সুন্নাহর অনুসারী গাজী সালাহউদ্দীন আইয়্যুবী (৫৩২-৫৮৭ হিজরী) ঈদে মিলাদুন্নবীসহ সকল জন্মবার্ষিকী উৎসব বন্ধ করে দেন।

৬০৪ হিজরীতে ইরবীলের শাসক আবু সাইদ মুজাফফর উদ্দীন কুকবরী আবার মিলাদুন্নবী প্রথা চালু করেন। তার এই মাহফিলে ফজর হতে জোহর পর্যন্ত সূফী নামদারী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকত এবং এই মাহফিলে লক্ষ লক্ষ স্বর্ণ মুদ্রা খরচ করা হত। (মীর আতুজ জামান ফি তারীখিল আইয়্যম- ৮/৩১০)

স্পেনের অধিবাসী আবুল খাত্তাব উমার ইবনু হাসান ইবনু দিহইয়াহ বাদশাকে মিলাদ সম্পর্কীয় “কিতাবুল তানভীল ফি মাউলিদিস সীরা-জিল মুনির” নামে একটি কিতাব লিখে ১০০০ হাজার স্বর্ণ মুদ্রা লাভ করার মাধ্যমে মিলাদুন্নবী পালনে উৎসাহিত করে। (আফাইয়াতুলআ’য়ান- ৩/১২২)

ভারতীয় উপমহাদেশে মিলাদুন্নবী প্রচলনকরীরা ছিল শিয়া সম্প্রদায়। ইসলামের মধ্যে মিলাদ, মিলাদুন্নবী প্রচলরকারী হল ফাতেমীয় শাসক শিয়া মুয়ীযলি দীনিল্লাহ, আর ভারত উপমহাদেশে মিলাদ প্রচলনকারী হলেন মোঘাল সম্রাট হুমায়ুন ও সম্রাট আকবরের মাতা ও অভিবাবক বৈরাম খাঁ । এরা দু‘জনেই কট্টর শিয়া ছিলেন।

ঈদে মিলাদুন্নবি পোস্ট

ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের ইতিহাস
ঈদে মিলাদুন্নবি পালনের ইতিহাস

সম্রাট জাহাঙ্গীরের রাষ্ট্রদূত, শেষ সম্রাট বাহদুর শাহও ছিলেন শিয়া। মোট কথা সম্রাটদের মাধ্যমে এই উপমহাদেশে সুন্নীদের মাঝে মিলাদুন্নবীর প্রচলন হয়। ফলে শিয়া মতাদর্শী মিলাদ ও মিলাদুন্নবীর আনুসাঙ্গিক ব্যাপারগুলো সুন্নিদের মধ্যে প্রচলিত হয়। (শাইখ আইনুল বারী, মিলাদুন্নবী ও বিভিন্ন বার্ষিক- ৩৩ পৃ)

ইমামুল হিন্দ হযরত সরহিন্দী মুজাদ্দেদী আলফে সানী রাঃ. কে মিলাদ সমর্থক আলেমগণ জিজ্ঞাসা করেন, মিলাদ মাহফিল অনাচারমুক্ত হলেও তাতে দোষের কিছু আছে কি? উত্তরে তিনি বলেন আমি মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত এই উৎসবের দরজা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত স্বার্থপর লোকেরা এর থেকে বিরত থাকবে না। যদি এর কিঞ্চিত জায়েজ হওয়ার ফতোয়া দেওয়া হয় তাহলে আমি জানি না ব্যাপারটি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। (মাকতুবাতে ইমাম রব্বানী, দপ্তর-৩, মাকতুব- ৭২)

প্রখ্যাত আলিম মাওলানা আঃ রহীম হানাফী রহঃ বলেন, মিলাদের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস হলো, রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের ২০০ শত বছর পর এমন একজন বাদশা প্রচলন করেছে, যাকে ইতিহাসে ফাসিক বা পাপিষ্ঠ বলা হয়েছে। (সুন্নাত ও বিদআত- ২২৬ পৃ)

আল্লামা তাজুদ্দীন ফাকেহানী রাঃ. বলেন, মিলাদের এই প্রথা না কুরআনে আছে না হাদীসে আছে। আর না পূর্ববাসীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে। বরং এটি একটি বিদআত কাজ। যাকে বাতিলপন্থি ও স্বার্থপরগোষ্ঠি সৃষ্টি করেছে। আর পেট পূজারীরা তা লালন করেছে। (বারাহীনে ক্বাত্বেআ- ১৬৪ পৃ)

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত
ঈদে মিলাদুন্নবি পালন করা কি বিদাত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *