ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ

ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ৷ সুপ্রিয় পাঠক! কেমন আছেন? আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ নিন ৷ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আজকে আলোকপাত করবো ৷ ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ ৷ বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত ও সমভাবে বিতর্কিত একটি মতবাদ হচ্ছে সেক্যুলারিজম বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ।

ধর্মনিরপেক্ষতার মূল ধারণা প্রাচীন হলেও মতাদর্শ হিসেবে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় আঠারো শতকে, ইউরোপে। এর সংজ্ঞা ও বাস্তব প্রয়োগের ব্যাপ্তি নিয়ে কিছুটা মতানৈক্য রয়েছে। তবে সকল ধর্মনিরপেক্ষ তাত্ত্বিক একমত যে, ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে এমন এক মতবাদ, যেখানে রাষ্ট্র থাকবে ধর্মের প্রভাব মুক্ত। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতিতে ধর্মের প্রবেশাধিকার হবে নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ নারীরা মাহরাম ছাড়া বাইরে যেতে পারবে কিনা? 

ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ

ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের দৈন্যতার কারণে ও রাজনৈতিক স্বার্থে অনেকে বলে থাকেন যে, ইসলামে ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে। নিঃসন্দেহে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ একটি কুফরী মতবাদ। আমি ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে কোনো কথা বলিনা। যা বলি তা কোরআন-হাদীসের দলিলের ভিত্তিতেই বলি । যিনি যতো কথাই বলুন না কেনো, তার কথার পেছনে যদি কোরআন-হাদীসের দলিল না থাকে,তাহলে তার কথা মেনে নেয়া যাবে না। আল্লাহ তা’য়ালা ও তাঁর রাসূল যা বলেছেন, তাই নিঃশর্তভাবে মেনে নিতে হবে। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-

اِتَّبِعُوۡا مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکُمۡ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ لَا تَتَّبِعُوۡا مِنۡ دُوۡنِہٖۤ اَوۡلِیَآءَ ؕ قَلِیۡلًا مَّا تَذَکَّرُوۡنَ ﴿۳﴾

তোমাদের প্রতি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে যা নাযিল করা হয়েছে, তা অনুসরণ কর এবং তাকে ছাড়া অন্য অভিভাবকের অনুসরণ করো না। তোমরা সামান্যই উপদেশ গ্রহণ কর। —সূরা আরাফ: ৩

ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ

কার কথা মানতে হবে সে বিষয়টি এখানে স্পষ্ট হয়ে গেলো। অর্থাৎ কোরআন হাদীসের দলিল ভিত্তিক কথাই মানতে হবে, অন্য কোনো কথা মানা যাবে না। হতে পারে সে কথা পিতা-মাতা, ভাইবোন বা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন অথবা কোনো নেতা-নেত্রীর। পিতা-মাতা, ভাইবোন বা নেতা-নেত্রী যদি এমন কথা বলেন, যে কথা আল্লাহর বিধানের বিপরীত, সে কথা মেনে নেয়া যাবে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা তওবার ২৩ নং আয়াতে বলেন-

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَتَّخِذُوۡۤا اٰبَآءَکُمۡ وَ اِخۡوَانَکُمۡ اَوۡلِیَآءَ اِنِ اسۡتَحَبُّوا الۡکُفۡرَ عَلَی الۡاِیۡمَانِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَوَلَّہُمۡ مِّنۡکُمۡ فَاُولٰٓئِکَ ہُمُ الظّٰلِمُوۡنَ ﴿۲۳﴾

হে ঈমানদারগণ, তোমরা নিজদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরীকে প্রিয় মনে করে। তোমাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারাই যালিম।

অর্থাৎ নিজেদের পিতামাতা, ভাইবোন বা অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন যদি আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের বিপরীত অন্য কোনো আদর্শের দিকে ডাকে ৷ অন্য কোনো পথ বা মত মেনে চলতে বলে ৷ তাহলে তাদের কথা মানা যাবে না। যদি কেউ তা মানে, তাহলে তারা জালিমদের দলে শামিল হবে এবং জালিমদের শেষ ঠিকানা হলো জাহান্নাম। আর যারা এ কথা বলে যে, ইসলামে ধর্মনিরপেক্ষতা আছে বা ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে ইসলামের কোনো বিরোধ নেই, তারা তোমাদেরকে প্রতারিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে ধোঁকাবাজি করে থাকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কলকাতা বই মেলা থেকে দেশে ফিরে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ আমাদের ‘আদর্শ’। পবিত্র কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ একটি কুফরী মতাদর্শ, যা অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য সুস্পষ্টভাবে অবৈধ। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ধর্মকে শুধুমাত্র নামায-রোযা ও হজ্জ-যাকাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। আর জীবনের বিস্তীর্ণ অঙ্গন তথা অর্থনীতি, সমাজনীতি, রাজনীতি, শিক্ষানীতি, পররাষ্ট্রনীতি, স্বরাষ্ট্রনীতি নিজের ইচ্ছা অথনা নেতার মর্জি মাফিক পরিচালিত করতে চান। আর এখানেই ইসলামের ঘোরতর আপত্তি। মহান আল্লাহ তা’য়ালা বলেন-

اَفَتُؤۡمِنُوۡنَ بِبَعۡضِ الۡکِتٰبِ وَ تَکۡفُرُوۡنَ بِبَعۡضٍ ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنۡ یَّفۡعَلُ ذٰلِکَ مِنۡکُمۡ اِلَّا خِزۡیٌ فِی الۡحَیٰوۃِ الدُّنۡیَا ۚ وَ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ یُرَدُّوۡنَ اِلٰۤی اَشَدِّ الۡعَذَابِ ؕ وَ مَا اللّٰہُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعۡمَلُوۡنَ ﴿۸۵﴾

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? আর কিয়ামতের দিনে তাদেরকে কঠিনতম আযাবে নিক্ষেপ করা হবে। আর তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন। (সূরা বাকারাহ-৮৫)

ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর জন্য বলে থাকেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। আসলে বিষয়টি এর সম্পূর্ণ বিপরীত। ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থই হলো ধর্মহীনতা। বিশ্বখ্যাত Random house dictionary of english language secularism-এর তিনটি সংজ্ঞা উল্লেখ করা হয়েছে-

  • No. 1-Not regarded as religious or spiritually sacred. যা ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিকভাবে পবিত্র বলে বিবেচিত নয়।
  • No. 2 -Not partaning to or connected with any religion. যা কোনো ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়।
  • No. 3 -Not belonging to a religious order. যা কোনো ধর্ম বিশ্বাসের অন্তর্গত নয়।

এছাড়া Encyclopedia Britanica. Oxford dictionary সহ

সকল বিশ্বকোষ ও অভিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা-ই বলা হয়েছে।

সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতা মানে অবশ্যই ধর্মহীনতা, ধর্মবিদ্বেষ ও ধর্মবিরোধিতা। তার প্রমাণ এই বাংলাদেশ ৷ ১৯৭২-এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মনোগ্রামে পবিত্র কোরআনের আয়াত ‘রাব্বি জিদনী ইলমা’ লেখা ছিল, তা কেনো বাদ দিয়েছিল। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে সলিমুল্লাহ হল করা হয়েছে। নজরুল ইসলাম কলেজ নাম থেকে ‘ইসলাম’ শব্দ বাদ দিয়ে নজরুল কলেজ করা হয়েছে। এগুলো কি ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মবিদ্বেষের বহিঃপ্রকাশ নয়? ধর্মনিরপেক্ষবাদীদের ধর্ম সম্পর্কে ব্যাখ্যা হচ্ছে, ‘ধর্ম যার যার নিজস্ব ব্যাপার। আর রাজনীতি ধর্ম থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’ মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন-

يأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُو أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُول

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর। সূরা নিসা ৷

এ আনুগত্য শুধু নামায-রোযার নয়, বরং তা জীবনের সকল ক্ষেত্রে। পৃথিবীতে নবী ও রাসূলদের আগমনের উদ্দেশ্যই ছিল সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা। এ উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে রাজনীতি করেছেন। তাছাড়া সকল নবী-রাসূলগণ ও সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম সকলেই রাজনীতি করেছেন। তাঁরা কেউ-ই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না।

সুতরাং ইসলাম মানুষের জীবনের কোনো খন্ডিত অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে না বরং জীবনের সকল দিক ও বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে। Islam is a complete code of life. ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।

ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের সংজ্ঞা

উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ (ইংরেজি: Secularism) শব্দটির বিস্তৃত অর্থ রয়েছে।তবে ধর্মনিরপেক্ষবাদ বলতে সাধারণত রাষ্ট্র আর ধর্মকে পৃথকরূপে প্রকাশ করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকে ধর্ম বা ধর্মীয় রীতিনীতির বাইরে থেকে পরিচালনা করাকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আইন কোন নির্দিষ্ট ধর্মের উপর নির্ভরশীল থাকেনা। এছাড়া ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্র কোনো ধর্মকেই পক্ষপাত করে না। এই মতবাদ অনুযায়ী, সরকার কোনরূপ ধর্মীয় হস্তক্ষেপ করবে না, কোন ধর্মীয় বিশ্বাসে বিশ্বাসী হবে না এবং কোন ধর্মকে কোন প্রকার অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করবে না। কাউকে ধর্ম পালনে বাধ্য করা হবে না। সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের আসল সংজ্ঞা

‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ’ ইংরেজী ‘সেকিউলারিজম’ শব্দেরই বাংলা অনুবাদ। গত আড়াই শত বছর থেকে এটা দুনিয়ার সর্বত্র একটি আদর্শের মর্যাদা লাভ করেছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম কামাল পাশাই তুরস্কে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করেন। ইতিপূর্বে মুসলমানগণ এরূপ নির্লজ্জভাবে দুনিয়াময় প্রচার করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের দীক্ষা গ্রহণ করেছে বলে কোন নযীর পাওয়া যায় না। এমনকি যে পাকিস্তান ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হিসাবে কায়েম হয়েছিল সেখানেও এক শ্রেণীর মুসলিম নামধারী প্রভাবশালী লোক ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকাশ্য সমর্থক। পাকিস্তানের ইতিহাস ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের কলংকময় ইতিহাস।

ধর্মীয় প্রবণতাকে মানুষের ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ রেখে সমাজ জীবনের সকল দিক ও বিভাগকে আল্লাহ ও রাসূলের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মকে পরিত্যাগ করাই এর লক্ষ্য। সে হিসাবে এ মতবাদকে ধর্মহীনতা বলাই সমীচীন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের বিধান মেনে চলার বিরুদ্ধে এর কোন বিশেষ আপত্তি নেই বলে এ মহান “উদারতার” স্বীকৃতি স্বরূপ এর নাম ধর্মনিরপেক্ষতা রাখা হয়েছে।

ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ অনুচ্ছেদ

এ মতবাদ সরাসরি আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না বটে, কিন্তু আল্লাহর গুণাবলী সম্পর্কে এর নিজস্ব ধারণা আছে। আল্লাহ নিজের প্রতি যতগুণই আরোপ করুন না কেন, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী মাত্র কযেকটা গুণই স্বীকার করতে রাযী। তাদের মতে, আল্লাহ এ বিশ্বটা শুধু সৃষ্টি করেছেন, বড়জোর তিনি এ জড়জগতের নিয়ম কানুন (প্রাকৃতিক নিয়ম ) রচয়িতা। মানুষকেও না হয় তিনিই পয়দা করেছেন। তাঁকে পূজা অর্চনা করলে মৃত্যুর পর তা কোন কাজে লাগলেও লাগতে পারে। কিন্তু দুনিয়ার জীবনে উন্নতি, শান্তি ও প্রগতির জন্য আল্লাহ বা রাসূলের কোন প্রয়োজন নেই। এটাই আল্লাহ সম্পর্কে বিশুদ্ধ ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা।

সুতরাং ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা গোটা সমাজ জীবনকেই আল্লাহ এবং ধর্মের অনাবশ্যক হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখাকে আদর্শ বলে মনে করে। তাদের মতে, ধর্ম নিতান্তই একটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। দু’ বা ততোধিক মানুষের সকল প্রকার পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণে ধর্মকে অনধিকার প্রবেশ করতে দেয়া চলে না। কেননা সমাজ জীবনে ধর্মের প্রভাব সম্পূর্ণ প্রগতি বিরোধী এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার পরিচায়ক।

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ কী?

ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ধর্মনিরপেক্ষতার বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার দুটি দিক রয়েছে। প্রথমত সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বৈষম্যহীন নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত ধর্মকে সব রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং ন্যায়বিচার, প্রশাসন, অর্থ ও রাষ্ট্রসংশ্লিষ্ট ধর্মীয় বিধানগুলো বাতিল, অচল বা প্রয়োগ অযোগ্য বলে বিশ্বাস করা। প্রথম বিষয়টি ইসলাম নির্দেশিত ও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূলনীতি ও দ্বিতীয় বিষয়টি ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও কুফর।’ (ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ)।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ কি? ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *