ভালো ছাত্র হওয়ার উপায় | একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ সুপ্রিয় পাঠক! সকলকে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ৷ আজ আমরা কথা বলবো ভালো ছাত্র হওয়ার উপায় নিয়ে ৷ একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী কি তা নিয়ে আলোচনা করব ৷ অনেকেই ভালো স্টুডেন্ট হতে চান ৷ পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান ৷ ক্লাসে ফার্স্ট হতে চান ৷ সেক্ষেত্রে কি কি করনীয় আমরা বিস্তারিত আলোকপাত করবো ৷ পুরো আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ৷ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করুন ৷ কাজে লাগান ৷ অবশ্যই একজন ভালো ছাত্র অথবা একজন ভালো ছাত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ৷
আরও পড়ুনঃ স্মরণশক্তি বৃদ্ধির উপায়
ভালো ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার সহজ উপায় কি?
ভালো ছাত্র হতে হলে প্রথমে ভাল হওয়ার সঙ্কল্প করতে হবে। সঙ্কল্প অটুট ও কঠিন হতে হবে। এর সঙ্গে ধৈর্য ও অধ্যবসায় যুক্ত করতে হবে।
অধ্যয়নই ছাত্রদের জন্য তপস্যা। এ প্রবাদটি ছাত্রদের জন্য অবশ্য পালনীয়। সর্বদা জিজ্ঞাসা, চেনা জানা, শোনা ও বুঝার জন্য দেহে ও মনে সজাগ ও সতর্কভাবে অক্লান্ত চেষ্টাই অধ্যয়ন । Study বা অধ্যয়ন শুধুমাত্র লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবন্ধ নয়। স্থান- কাল-পাত্র বা বস্তু অনুসারে সামগ্রিকভাবে পূর্ণ জ্ঞান লাভের জন্য সব সময় যে তৎপরতা চালানো হয় তাকেই বলা যায় অধ্যয়ন বা Study। সামগ্রিকভাবে জানাই প্রকৃত জানা এবং সে জন্য অধ্যয়ন অবশ্য প্রয়োজন। সাফল্যের গৌরব রূপ ছাত্র ধারণ করে বলেই একজন ছাত্র শিক্ষকের প্রিয়ভাজন। Student শব্দটি ঘিরে আছে Study. Truthfulness, Unity, Discipline, Education, Neatness এবং Tidiness। এসব গুণের অধিকারীই প্রকৃত Student
বিদ্যালয়ের রুটিন ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই বাড়ির রুটিন থাকা চাই। পড়াশুনার জন্য সুনিদ্রা বা বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। রুটিন অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুনিদ্রা উপভোগ করা উচিত। আলস্য যেমন মন্দ স্বভাব, অধিক রাত জেগে পড়াশুনা করাও তেমনি । ভোর পাঁচটায় কিংবা তার পূর্বে শয্যাত্যাগ এবং রাত এগারটায় অবশ্যই ঘুমুতে যাওয়া কর্তব্য । আট ঘণ্টার বেশি ঘুম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভাল নয় ।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ছয় ঘণ্টা (আট ঘণ্টা ঘুম বাদ দিয়ে) সকাল, দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ইত্যাদি সময় ভাগ করে সপ্তাহের প্রতিদিনের রুটিন করা দরকার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও দীর্ঘ বন্ধ কাটানোর জন্য খুব চিন্তা করে রুটিন তৈরি করা উচিত। এছাড়া একজন ছাত্রের প্রাত্যহিক রুটিন থাকা প্রয়োজন ।
ভালো ছাত্র হওয়ার উপায় | একজন ভালো ছাত্রের বৈশিষ্ট্য
শেখার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করতে হবে
শেখা ব্যাপারটাই কঠিন, শুধু যে কঠিন তা নয়, কখনও কখনও একঘেয়ে আর সময় সাপেক্ষও বটে। সেজন্যেই কেউ ঠেকায় না পড়লে বড় একটা শিখতে চায় না।
কেউ হয়ত মনে করে তার যথেষ্ট শেখার আগ্রহ আছে, মোটা একটা বইয়ের সমস্ত পৃষ্ঠায় একবার চোখ বুলিয়েই ভাবে হয়ে গেল শেখা। তারপর যখন সেই বিদ্যাটা কাজে লাগাবার সময় আসে, দেখা যায় সে কিছুই শেখেনি। এই যে শেখা হয়নি, কোন জিনিসটা দায়ী এর জন্যে? খুঁটিয়ে দেখলে দেখা যাবে, দায়ী শিখতে না চাওয়ার প্রবণতা ।
শিখতে না চাওয়ার প্রবণতাটা এক এক জনের বেলায় এক এক ভাবে প্রকাশ পায়। কেউ ছোট্ট একটা পাঠ ঘণ্টার পর ঘণ্টা মুখস্থ করার চেষ্টা করছে, পারছে না। কিন্তু আরেকজন ছাত্র ওই একই পড়া আধ ঘণ্টার মধ্যে মুখস্থ করে ফেলল, পড়াটা কোনোদিন ভুলবেও না সে। এর কারণ একজনের শেখার আগ্রহ রয়েছে, আরেকজনের নেই। এমনও হতে পারে, তোমার মধ্যে শেখার আগ্রহ আছে, কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে নেই, তাই যা শিখছ তা পুরোপুরি শেখা হচ্ছে না, নয়ত শিখছ ঠিকই কিন্তু খানিক পরই হয় ভুলে যাচ্ছ নয় সব গুলিয়ে ফেলছ। কাজেই কিছু শিখতে হলে শেখার ইচ্ছেটা তোমার মধ্যে থাকতে হবে পুরোপুরি, কম হলে চলবে না।
পড়ালেখার সাথে লেগে থাকতে হবে
লেগে থাকা একটা মস্ত গুণ। লেখাপড়ায় ভালো করতে হলে লেগে থাকতেই হবে। তোমাকে। যে বিষয়টা পড়তে সহজ, ভালো লাগে, শুধু সে বিষয়টা নিয়ে পড়ে থাকলে অন্যান্য বিষয়গুলোর ওপর অবিচার করা হবে ওগুলোয় কাঁচা থেকে যাবে। লেগে থাকতে হবে সবগুলো পাঠ্য বিষয়ের পেছনে।
একদিন প্রচুর পড়াশোনা করলে, তারপর একটানা তিন চার দিন বই পত্রের ধারে কাছে ঘেঁষলে না, গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ালে, এভাবে লেখাপড়া এগোবে না, লেখাপড়া তোমার নিয়মিত মনোযোগ দাবি করে ৷ কয়েকদিন ফাঁকি দেবার পর আবার যখন বই নিয়ে বসবে, দেখবে আগে যা পড়েছিলে তার প্রায় সবটুকুই ভুলে গেছ ৷ আবার নতুন করে আগের পড়া পড়তে হবে তোমাকে ৷ তার মানে আগের পড়াটা তোমার কোন কাজেই লাগল না ৷ লেখাপড়া করতে বসে অল্প পড়াশোনা করা ক্ষতিকর নয়, কিন্তু একদিন প্রচুর পড়াশোনা করে মাঝখানে কয়েকদিন একবারেই না পড়া অত্যন্ত ক্ষতিকর কেউ কেউ সারা বছর গায়ে বাতাস লাগিয়ে বেড়ায় ৷ তারপর ঠিক পরীক্ষার আগে সারাদিন এবং সারারাত জেগে পড়াশোনা শুরু করে ৷ এটাও অত্যন্ত ক্ষতিকর ৷ এভাবে শেষ মুহুর্তে পড়া তৈরি করে হয়ত কোনো রকমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যায়, কিন্তু ভালো রেজাল্ট করা যায় না। তাছাড়া এভাবে পড়াশোনা করলে ঠেলেঠুলে যদিও বা কোনোমতে পাস করা যায়, শেখা হয় না কিছুই ৷ সার্টিফিকেট হয়ত পাবে, কিন্তু জ্ঞানের ভাণ্ডারে তোমার জমা হবে না কিছুই ৷ পাস তো অবশ্যই করতে হবে, কিন্তু শুধু পরীক্ষায় পাস করার জন্যে লেখাপড়ায় তেমন লাভ নেই, এ কথা তুমি ও নিশ্চয়ই স্বীকার করবে? তোমাকে শিখতে হবে, জানতে হবে; কাজেই খাটতে হবে এবং খাটতে হবে নিয়মিত ৷ অল্প অল্প করে পড়, কিন্তু প্রতিদিন পড় ৷ তোমার শরীরের যেমন বোঝার ভার সহ্য করার একটা সীমা আছে ৷ তেমনি তোমার মনেরও বোঝা সহ্য করার একটা সীমা আছে। হঠাৎ একদিন মনের ওপর খুব বেশি ভার চাপালে সে তা গ্রহণ করতে পারবে না ৷ ফলে যতই পড়, তোমার মনে থাকবে না কিছু ৷ তার চেয়ে একটু একটু করে পড়, প্রতিদিন পড়, যা পড়বে সব হজম করে নেবে মন ৷
আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে
লেখাপড়াকে ভয় করলে লেখাপড়ায় ভাল করা যায় না ৷ কথাটা সব কাজ সম্পর্কেই খাটে ৷ ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে পরীক্ষায় পাস করা তো দুরের কথা, পরীক্ষা দিতেই পারবে না। হিলারী হিমালয়কে ভয় পাননি, তাই তিনি এভারেষ্ট জয় করতে পেরেছিলেন। এভারেষ্ট জয় করা সম্ভব, তিনি জয় করতে পারবেন, এই বিশ্বাস তার ছিল ৷ তা না হলেশত সহস্র বাধা টপকে সাফল্য অর্জন করতে পারতেন না ৷ তুমি যদি ধরেই নেও পরীক্ষায় পাস করা বা ভালো করা তোমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাহলে সত্যিই সম্ভব হবে না ৷ আত্মবিশ্বাসের জোরে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করছে, আর তুমি কয়েকটা বই পড়ে মনে রাখতে পারবে না? তোমার সহপাঠিরা যা পারবে তোমার তা না পারার কি কারণ থাকতে পারে। ঠিক নিয়মে লেখাপড়া করে নিশ্চয়ই তুমিও পারবে। বছরের শুরুতে নতুন বই কিনে নাড়াচাড়া করবার সময় অনেকেই ঘাবড়ে যায়, ভাবে সাংঘাতিক কঠিন সাবজেক্ট, এগুলো পড়ে বুঝা, তারপর পরীক্ষা দিয়ে পাস করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ কঠিন, তা হয়ত সত্যি, কিন্তু যতক্ষণ বুঝা যাচ্ছে না ততক্ষণ কঠিন, বুঝতে পারলেই তো পানির মতো সহজ, ঠিক নয় কি? এবং বুঝার জন্যে সামনে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ সময়। তাহলে এতো আতঙ্কিত হবার কি আছে? সাবজেক্ট কঠিন বলে মনে হলে ভয় না পেয়ে মনটাকে বরং শান্ত কর, নিজে বুঝাও অন্যের পক্ষে যা সম্ভব তোমার পক্ষেও তা সম্ভব হবে ৷ মনে ভয় থাকলে সহজ জিনিসও কঠিন হয়ে যায়, মাথায় ঢুকতে চায় না ৷ কাজেই মনটাকে শক্ত করে বাঁধুন, ভয়-ভীতি সব তাড়ান ৷
আমি পারবে ৷ এই কথাটা বারবার স্মরণ করিয়ে দিবে নিজেকে ৷ পারবো বলে মনে করলেই পারা যায়, এর ভুরি ভুরি দৃষ্টান্ত ছড়িয়ে আছে চারদিকে। লেখাপড়া শুরু করেছ, শত বাধা এলেও তা তোমাকে শেষও করতে হবে, এই মনোভাব নিয়ে পড়াশোনা শুরু কর ৷ কঠিন বিষয়গুলো তোমার জন্যে কোনো সমস্যাই হবে না ৷ এ প্রসঙ্গে একটা প্রশ্ন করছি তোমাকে, পাঠ্য বিষয় কঠিন বলে মনে হয় তোমার ৷ সেজন্য ভয় লাগে? কিন্তু পাঠ্য বিষয় সহজ কেন হবে সে কথা কখনো ভেবে দেখেছ কি? একবার চোখ বুলিয়েই যদি সাথে সাথে পানির মতো সহজে সব বুঝে যাও, তাহলে আর শেখার কি থাকলো তাতে, আর তোমাকে পরীক্ষা করাই বা সম্ভব হবে কিভাবে?
বিষয়গুলো কঠিন হবারই কথা ৷ কিন্তু কঠিন হলেও তা যাতে নিয়মিত পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগে ভালোভাবে বুঝতে পারো সেদিকে খেয়াল রেখেই ওগুলো পাঠ্যসূচির অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ৷ তুমি যাতে ফাঁকি দিতে না পারো, যাতে নিয়মিত পড়াশোনা করো, যাতে কিছু শিখতে পারো, তাই গতবারের পাঠ্যসূচির চেয়ে এবার আরো একটু কঠিন পাঠ্যসূচি দেয়া হয়েছে তোমাকে ৷ তোমাকে আতঙ্কিত করে তোলার জন্যে বিষয়গুলোকে কঠিন করা হয়নি, বিষয়গুলো আসলেই কঠিন ৷ এবং বিষয়গুলো কঠিন দেখে তুমি ভয় পাবে বলে আশা করা হয়নি, আশা করা হয়েছে তুমি আগের চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসী হবে, পাঠ্যসুচীকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করবে ৷
পড়াশোনার জন্যই তুমি কতোটুকু সময় পাবে তার হিসেব কষেই তোমার জন্যে নির্বাচন করা হয়েছে পাঠ্যসূচি ৷ পাঠ্যসূচিতে যতো কঠিন বিষয়ই থাকুক, নিয়মিত পড়াশোনা করলে পরীক্ষার আগেই তুমি সব পানির মতো সহজে বুঝে নিতে পারবে, স্কুল বা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সে হিসেবও করে দেখেছে। কাজেই ভয় পাবার কিছু নেই ৷
শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হতে হবে
কেউ যদি পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে চায় তবে তাকে অবশ্যই শ্রেণীকক্ষে মনোযোগী হতে হবে ৷ বিশেষত শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করলে তার উচিত হবে কোনো সহপাঠির সাথে আর একটি কথাও না বলে শিক্ষক কি বলেন সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি দেয়া। তিনি যদি ক্লাসে এসে পড়া ধরতে শুরু করেন তবে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে কে কি বলছে। এতে করে পড়া শিক্ষা যদি ঠিক মত না হয় বা ভুলে যায় কেউ তবেতোমার উপকার হবে। এমনও হতে পারে কেউ কোনো একটি প্যারাগ্রাফ বা প্রশ্নের উত্তর ভুলে গেছে । তখন যদি শিক্ষক ক্লাসে বলেছেন বা তার কোনো সহপাঠি কি বলছে তা থেকে ভুলে যাওয়া অংশ শুনতে পেয়ে শিক্ষককে পড়া দিতে গিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।
শিক্ষক যখন পরবর্তী দিনের পড়া দিবেন তখন একাগ্রচিত্তে তোমাকে পাঠদান শুনতে হবে। তার কোনো লেকচার তোমার বুঝতে অসুবিধে হলে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে তাকে প্রশ্ন করে ব্যাপারটা বুঝে নিবে। এত লজ্জিত হবার কিছু নেই। তবে জিজ্ঞেস করতে দেরি করবে না । কিন্তু কোনো শিক্ষক যদি পাঠদানকালে প্রশ্ন করতে নিষেধ করেন তবে পাঠ দেয়া শেষ হলে সমস্যা বা না বুঝা সংক্রান্ত প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবে। তা না হলে বাড়িতে গিয়ে যখন তুমি পড়তে বসবে তখন তোমার অযথা সময় নষ্ট হলেও পড়া তৈরি করা সম্ভব না হবার আশংকা থাকবে। পরদিন ক্লাসে পড়া দিতে না পারলে শিক্ষক তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন। আর যদি তিনি তোমাকে কোনো প্রশ্ন না করেন বা যে অংশ বুঝতে পারনি। সেই অংশ থেকে প্রশ্ন না করেন তাতে খুশি হবার কোনো কারণ নেই। কেননা পরবর্তীতে নোট করার সময় তোমার সমস্যা হবে। আর যদি ওই না বুঝা অংশ সম্বলিত কোনো প্রশ্ন পরীক্ষায় এসে যায় তাহলে তোমার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখ ।
ক্লাসে শিক্ষক যা পড়াবেন তা যদি আগে পড়া থাকে বা সেই সম্পর্কে আংশিক ধারণা থাকে তবে শিক্ষকের পাঠ বুঝা অনেক সহজ হয়ে যায়। এতে করে বাড়িতে এসে ওই পড়া তৈরি করার সময় অধিক সময় লাগবে না। এ জন্য তাকে বাড়ি থেকে পড়ে আসতে হবে এবং শ্রেণীকক্ষে মনোযোগ দিয়ে শিক্ষকের পাঠদান শুনতে হবে।
শ্রেণীকক্ষে মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক পড়াবার সময় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো নোট করতে হবে। পরবর্তীতে নোট করার সময় এসব সংক্ষিপ্ত নোট অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবে ভালো একটি উত্তর তৈরি করার ব্যাপারে।
পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে হলে নোট করা আবশ্যক। ক্লাসে মনোযোগী হলে স্কুলের পড়া তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে না বিধায় নোট করার জন্য প্রচুর সময় পাওয়া যায়। বিশেষ করে অংকের ক্লাসে তাকে অধিকতর সতর্কতার সাথে ফর্মুলা বুঝে নিতে হবে যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা না হয়।
শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷