সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ সুপ্রিয় পাঠক! আপনাদেরকে জানাচ্ছি আন্তরিক মোবারকবাদ ৷ আজ কথা বলব সালাতুল তাসবি নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলিলসহ ৷ অনেকেই এই নামাজকে বিদআত বলে থাকেন ৷ আবার অনেকেই বলেন এই নামাজ নাকি বানোয়াট ৷ আজ আমরা প্রমাণ করব সালাতুল তাজবি নামাজটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত ৷ যে নামাজটি পড়ার মাধ্যমে বান্দা অনেক অনেক ফজিলত ও বরকত লাভ করে থাকেন ৷

আরও পড়ুনঃ তাওবার নামাজ পড়ার নিয়ম

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

ফরজ ইবাদাতের কোনো বিকল্প নেই। ফরজ নামাজ আদায়ের পর যারা নফল নামাজ আদায় করেন তাদের প্রতি রয়েছে মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত। নফল নামাজ ও রোজার মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূল (সা:)-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত ছাড়া অন্যান্য নামাজকে নফল নামাজ বলে। নফল নামাজের কোনো সীমা নেই। যে যত বেশি পড়বে, সে তত বেশি সওয়াব লাভ করবে। মাকরুহ সময় ব্যতীত যখনই কেউ নফল নামাজ পড়তে চায় এবং যত বেশি পড়তে চায় তা পড়লে তার জন্য মঙ্গল এবং বরকতেরই কারণ হয়। মহানবী সা: বলেছেন, ‘রমজান মাসের নফল নামাজ অন্য মাসের ফরজের সমতুল্য’।

মাদান ইবনে আবু তালহা (রহ.) বলেন, আমি নবীজির আজাদকৃত (স্বাধীন করে দেওয়া) গোলাম ছাওবান (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে এমন আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে! তিনি বলেন, অথবা আমি বলেছি, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমলের কথা বলে দিন। এভাবে তিন বার জিজ্ঞাসার পর তিনি বললেন, আমিও নবী কারিম (সা.)-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন—

‘তুমি বেশি বেশি সিজদা করো (নফল নামাজ)। কেননা তোমার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং একটি গোনাহ মিটিয়ে দেবেন।’

মাদান বলেন, পরবর্তী সময়ে আমি আবু দারদা (রা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তিনিও একই উত্তর দিয়েছেন। [সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮]

নফল নামাজগুলোর মধ্যে সালাতুতু তাসবিহ অন্যতম। সালাতুতু তাসবিহের নামাজের ফজিলতের মধ্যে অন্যতম হলো- বিগত জীবনের গোনাহ মাফ হওয়া ও বিপুল সাওয়াব লাভ। এ নামাজের ব্যাপারে হাদিসের একটি বর্ণনা পাওয়া যায়।

সালাতুত তাসবিহের নামাজের প্রত্যেক রাকাআতে ৭৫ বার তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে ৪ রাকাতে মোট ৩০০ বার তাসবিহ পড়তে হয় ৷

সালাতুত তাসবি নামাজের দোয়া

سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ

উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ৷

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত

সালাতুত তাজবিহ নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই নামাজের নিয়ত করতে হয়। মনে মনে সালাতের নিয়ত করা হচ্ছে ফরজ ৷ আর মুখে মুখে আরবিতে নিয়ত করা মুস্তাহাব ৷ আর সেই নিয়ত হচ্ছে-

“নাওয়াইতু আন উসালিলয়া লিল্লাহি তা’আলা আরবা’আ রাকা’আতাই সালাতিল তাসবি সুন্নাতু রাসূলিল্লাহহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।”

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম

সালাতুত তাসবিহ নামাজের শুরুটা অন্যান্য নামাজের মতই। অর্থাৎ, তাকবিরে তাহরিমা (আল্লাহু আকবার) বলে নামাজ শুরু করতে হবে।

• তারপর ছানা পড়তে হবে। ছানা পড়ার পর ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১৫ বার পাঠ করুন।

আরও পড়ুনঃ সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার আরবি বাংলা

• অতঃপর “আউযুবিল্লাহ” এবং “বিসমিল্লাহ” সহ সূরা ফাতেহা পাঠ করে অন্য যে কোনো একটি সূরা মিলাতে হবে। সূরা মিলানো শেষ হলে রুকুর আগে আবারো ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১০ বার পড়ুন।

• তারপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবিহ অর্থাৎ, (سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ) সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম” ৩/৫/৭ বার পাঠ করার পর আবারো ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১০ বার পাঠ করুন।

• এরপর রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় এই তাসবিহটি ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” আবারো ১০ বার পাঠ করুন।

• তারপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবিহ ( سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى ) সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা ৩/৫/৭ বার পাঠ করে পুণরায় ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১০ বার পড়ুন।

• তারপর প্রথম সিজদা থেকে উঠে বসা অবস্থায় আবারো ( سُبحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلهِ وَلَا إِلهَ إِلَّا اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১০ বার পাঠ করতে হবে ৷

• অতঃপর দ্বিতীয় সিজদায় গিয়ে প্রথমে সিজদার তাসবিহ (سُبحانَ ربِّيَ الأعلَى ) সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা” ৩/৫/৭ বার পাঠ করে আবারো ( سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ ) সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” এই তাসবিহটি ১০ বার পাঠ করুন।

• এরপর দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহার পূর্বে ১৫ বার, রুকুতে ১০ বার, রুকু হতে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ১০ বার, প্রথম সেজদায় ১০ বার এবং সেজদা হতে উঠে বসে ১০ বার এবং দ্বিতীয় সেজদায় আবারো ১০ বার سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ পাঠ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ ইল্লাল্লাহ জিকির জায়েজ কিনা? 

• ২ রাকাত শেষ হলে বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে নামাজের সাধারণ নিয়মেই তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যান ৷ অতঃপর প্রথম রাকাতের নিয়মেই বাকি তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাত শেষ করুন ৷ এটাই মূলত সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ৷

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

সালাতুত তাসবিহ সম্পর্কে সহিহ হাদিস আছে কি?

হ্যাঁ, সালাতুত থাকলে সম্পর্কে সহিহ হাদিস রয়েছে ৷ আমরা পুরো হাদিসটির আরবি এবং অর্থ পড়ে নিচ্ছি ৷ ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: يَا عَبَّاسُ، يَا عَمَّاهُ، ” أَلَا أُعْطِيكَ، أَلَا أَمْنَحُكَ، أَلَا أَحْبُوكَ، أَلَا أَفْعَلُ لَكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ، غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ، وَقَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ، وَخَطَأَهُ وَعَمْدَهُ، وَصَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ، وَسِرَّهُ وَعَلَانِيَتَهُ، عَشْرُ خِصَالٍ: أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ، تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ وَسُورَةٍ، فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ، قُلْتَ وَأَنْتَ قَائِمٌ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً، ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُ وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا، فَذَلِكَ خَمْسَةٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ، تَفْعَلُ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ، إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ، فَإِنْ لَمْ تَسْتَطِعْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً

রাসূলুল্লাহ ﷺ আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিবকে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না? আমি কি আপনার নিকটে আসব না? আমি কি আপনার জন্য দশটি সৎ গুণের বর্ণনা করব না যা করলে আল্লাহ তাআলা আপনার আগের ও পিছনের, নতুন ও পুরাতন, ইচ্ছায় ও ভুলবশত কৃত, ছোট ও বড়, গোপন ও প্রকাশ্য সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন?

আর সে দশটি সৎ গুণ হলো: আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাআত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন-
سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ

এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় (উক্ত দুআটি) ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা ওঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার।

আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি আপনি প্রতিদিন আমল করতে পারেন, তবে তা করুন। আর যদি না পারেন, তবে প্রতি জুমাআয় একবার। যদি প্রতি জুমআয় না করেন তবে প্রদি মাসে একবার। আর যদি তাও না করেন তবে জীবনে একবার। [সুনানে আবু দাউদ ১২৯৭ সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৮৭ সহীহ ইবনে খুজাইমা ১২১৬ সুনানে বায়হাকী কুবরা ৪৬৯৫]

সালাতুত তাসবিহর হাদিস সহিহ। শায়েখ আবু সুহাইব খালেদ ইবন মাহমুদ আল হায়েক বলেন,

وقد صححها وحسنها جمع من أهل العلم، منهم: أبو علي ابن السكن، والآجري، والحاكم، والبيهقي، والبغوي، وأبو موسى المديني، والمنذري، وابن الصلاح، وابن ناصر الدين الدمشقي، وتقي الدين السبكي، وولده تاج الدين، والعلائي، والبلقيني، والزركشي، والهيتمي، وابن الجزري، والسيوطي، وابن طولون، وأبو الحسن السندي، والمباركفوري، واللكنوي، وأحمد شاكر، والألباني

ওলামায়ে কেরামের যে জামাত সালাতুত তাসবিহর হাদিসকে সহিহ ও হাসান বলেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন, আবু আলী ইবনুস সাকান, আজিরী, হাকিম, বাইহাকি, বগভি, আবু মুসা মাদিনী, মুনযিরি, ইবনুস সালাহ, ইবনু নাসিরুদ্দিন দামেশকি, তাকি উদ্দিন সুবকি, তাজুদ্দিন সুবকি, আলাঈ, বিল্কিনি, যারকাশি, হাইছামি, ইবনুল জাযারি, সুয়ুতি, ইবন তুলুন, আবুল হাসান সিন্ধি, মুবারকপুরি, আহমদ শাকির ও আলবানি।

দু’আর দ্বারা বান্দা অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে

• আদম আ. দু’আ করে ক্ষমা লাভ করেছেন।

• ইবরাহীম আ. দু’আ করে নমরুদের অগ্নিকুণ্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

• ইউনুস আ. দু’আ করে মাছের পেট থেকে মুক্ত হয়েছেন।

• ঈসা আ. দু’আ করে ইয়াহুদীদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই পেয়ে আসমানে উঠেগেছেন।

• হুযূর সা. বদরে, উহুদে, খন্দকে দু’আ করে শত্রুর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছেন।

 

সুতরাং আমাদেরও যত সমস্যা আছে, এ দু’আর মাধ্যমে আল্লাহ’র কাছ থেকে তার সমাধান করিয়ে নিতে হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন। আগামী দিনগুলোতে যেন আমরা সব ধরনের বিপদ-আপদ হতে মুক্ত থেকে স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন কাটাতে পারি, আল্লাহ আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করুন! আমীন!

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ
সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত দলীলসহ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *