মহান মে দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য, বক্তব্য ও শিক্ষা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ সুপ্রিয় পাঠক! সবাইকে মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা ৷ আজ আমরা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করবো ৷ মহান মে দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য, বক্তব্য ও শিক্ষা তুলে ধরব ৷ আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন ৷ পুরো লেখাটি পড়ুন ৷ আশা করছি শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ৷ ইসলামে শ্রমিকের অধিকার সম্পর্কেও আমরা আলোকপাত করবো ইনশাআল্লাহ ৷
আরও পড়ুনঃ শিশুদের নাম রাখার ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান
মহান মে দিবসের ইতিহাস, তাৎপর্য, বক্তব্য ও শিক্ষা
মহান মে দিবস
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস যা সচরাচর মে দিবস নামে অভিহিত। প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। আরো অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।
মহান মে দিবসের ইতিহাস
১৮৮৬ খৃ. আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয়। সেদিন দৈনিক আটঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।
কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হতো।
তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেয়া যাবে না। ৮ ঘন্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১লা মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে।
প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়।আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আত্মহননও করেন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।
মে দিবস অনুচ্ছেদ
মে দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ওপর এ দিবসের প্রভাব সূুদূর প্রসারী। এর প্রভাবে শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় ১৬ ঘন্টা থেকে নেমে আসে ৮ ঘন্টায়। বিশ্বের সব দেশের শ্রমিকরা এর মাধ্যমে তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করে। নিজেদের অধিকার আদায়ে তারা এগিয়ে যায় সামনে। মেহনতি মানুষ মুক্তি পেতে শুরু করে তাদের শৃঙ্খলিত জীবন থেকে। বিশ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় সামাজিক পরিবর্তনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।
মে দিবস হচ্ছে গোটা পৃথিবীর শ্রমজীবি সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচনা করার দিন। শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন তাদের জীবন বন্দি ছিল তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় তাদের শৃঙ্খল। এ ফলে আস্তে আস্তে লোপ পেতে লাগলো সমাজের শ্রেণি-বৈষম্য। পুঁজিবাদের দূর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করা অবৈধ অর্থলোভীদের আগ্রাসী দংশন থেকে রেহাই পেল কোটি কোটি শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে উপহার দিল এই মে দিবস। মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকের যে উঁচু-নিচু সম্পর্ক ছিল তা এক সময় সমতলে চলে আসলো শুধুমাত্র মে দিবসের স্বীকৃতির ফলেই।
ইসলামে শ্রমিকের অধিকার
বছর ঘুরে আবার এসেছে মে মাস। শ্রমিকের অধিকার আদায় আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত এ মাসের ১ তারিখ সারা বিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব শ্রমিক দিবস’ (International Workers Day) হিসাবে। এ দিবসটি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার এবং মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা।
শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকারের কথা বিধৃত হয়েছে। শ্রমিকদের প্রতি সুবিচারের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম শ্রমের প্রতি যেমন মানুষকে উৎসাহিত করেছে (জুম‘আহ ১০), তেমনি শ্রমিকের সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পূর্ণ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষকে অত্যন্ত সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতেন। কারণ যারা মানুষের সুখের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদেরকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়, তারাতো মহান আল্লাহর কাছেও মর্যাদার অধিকারী।
নবিজি (সা.) খেটে খাওয়া শ্রমজীবীকে ভীষণ ভালোবাসতেন। মক্কা বিজয়ের দিন কাবা ঘরে প্রথম প্রবেশের সময় তিনি শ্রমজীবী বেলাল (রা.) ও খাব্বাব (রা.)কে সঙ্গে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, হজরত বেলাল (রা.)কে ইসলামের প্রথম মুয়াজ্জিন বানিয়েছিলেন। অথচ ইসলাম পূর্ব যুগে হাবশী গোলাম বেলালের কোনো সামাজিক মর্যাদা ছিল না। ইসলাম বেলাল (রা.)কে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। হজরত আনাস (রা.) বলেন, আমি দশ বছর নবিজি (সা.)-এর খেদমত করেছি। অথচ দীর্ঘ এ সময়ে তিনি কখনো আমাকে ধমক দেননি। তিনি খেতে বসলে আমাকে সঙ্গে নিয়েই খেতেন। একই প্লেটে খেতাম আমরা।
মে দিবসের উক্তি
মানবতার মুক্তির মহাসনদ নামে খ্যাত বিদায় হজের ভাষণে মহানবী সা. বলেছেন ‘তোমাদের অধীনস্তদের প্রতি খেয়াল রাখবে। তোমরা যা খাবে তাদেরও তা খাওয়াবে, তোমরা যা পরবে তাদেরও তা পরাবে’। (মুসলিম, তিরমিজি)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবি কারিম (সা.) বলেন, তোমরা ঘাম শুকানোর আগে শ্রমিককে তার মজুরি দিয়ে দাও। ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-২৪৪৩।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে বিশ্বনবি (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘কিয়ামতের দিবসে আমি নিজে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাদী হব। এক ব্যক্তি, যে আমার নামে ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করল। আরেক ব্যক্তি, যে কোনো স্বাধীন মানুষকে বিক্রি করে তার মূল্য ভোগ করল। অপর ব্যক্তি, যে কোনো শ্রমিক নিয়োগ করে তার থেকে পুরো কাজ আদায় করেও তার পারিশ্রমিক দেয় না। বুখারি, হাদিস নং ২২২৭।
ইবনে মাজায় বর্ণিত একটি হাদিসে হযরত আবু বকর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ক্ষমতার বলে অধীনস্থ চাকর-চাকরানি বা দাস-দাসীর প্রতি মন্দ আচরণকারী বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, কেউ তার অধীন ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে এক দোররা মারলেও কেয়ামতের দিন তার থেকে এর বদলা নেওয়া হবে।
মে দিবসে কোনও কর্মী খুঁজে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করো। শ্রমিক না থাকলে কোনও সভ্যতা তৈরি করা যেত না – মেহমত মুরাত ইলিদান
মে দিবস কোনও সাধারণ দিন নয় কারণ (Quotes For May Day In Bengali) এটি এমন এক দিন যা অসাধারণ মানুষ, শ্রমিকদের লালন করে – মেহমত মুরাত ইলিদান
মে দিবসের তাৎপর্য
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নিম্ন মধ্য আয়ের দেশ। এই দেশে শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক। বর্তমানে মে দিবসের সম্মানার্থে বাংলাদেশেও ১ মে সরকারী ছুটির দিন। এদিন শ্রমিকরা মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পালন করে মে দিবস। তারা তাদের পূর্বসূরীদের স্মরণে আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শ্রমিক সংগঠনগুলো মে দিবসে আয়োজন করে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী কর্মসূচির। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এদিন আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে মহান মে দিবস।
ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবিদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। মে দিবসে সকল শ্রমজীবি মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী পরিবর্তন সূচনার অঙ্গিকারের প্রয়াস পায়। জয় হোক সাম্যের, জয় হোক মেহনতি মানুষের।
শ্রমিকের সাথে কেমন আচরণ করতে হবে?
অধীনস্তদের ব্যাপারে কার দায়িত্বের পরিধি কতটুকু তার বিশদ বিবরণ দিতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) প্রথম রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করলেন। তারপর বললেনঃوَالرّجُلُ رَاعٍ فِي أَهْلِ بَيْتِهِ وهو مسئول عن رعِيَّتِهِ
অর্থাৎ, পরিবারের কর্তা পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক। তার বিবি, ভার ছেলে-মেয়ে, তার ছোট ভাই-বোন তথ্য
পরিবারের সকলে তার অধীনন্ত, তাদের প্রত্যেকের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহী করতে হবে। আমি পরিবারের জন্য গাড়ি-বাড়ি করে যেতে পারলাম কি-না, তাদের জন্য ব্যাংক বালেন্স রেখে যেতে পারলাম কি-না, তাদেরকে স্কুল কলেজের ডিগ্রি নিয়ে যেতে পারলাম কি-না, এসব ব্যাপারে আমাকে জবাবদিহী করতে হবে না, কিন্তু তাদের দ্বীনের ব্যাপারে আমাকে জবাবদিহী করতে হবে। আমি তাদেরকে কুরআন পড়া শিখিয়েছি কি-না, নামায, রোযা শিখিয়েছি কি-না, দ্বীনের জরুরী মাসআলা-মাসায়েল শিখিয়েছি কি-না, এসব ব্যাপারে আমাকে জবাবদিহী করতে হবে।
এভাবে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, বিবিরও দায়িত্ব আছে, সেও ঘরের তত্ত্বাবধায়ক। ঘরের সন্তানাদিকে দেখা এবং স্বামীর অগোচরে তার মালামাল ইত্যাদি ঘরের সবকিছুর দেখাশুনা করা ও হেফাযত করা তার দায়িত্ব। এ বিষয়ে তাকে জবাবদিহী করতে হবে। এরপরে রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ
فكلكُمْ رَاعٍ ومسئول عن رعيته
অর্থাৎ, এভাবে তোমাদের প্রত্যেকে তত্ত্বাবধায়ক। যার তত্ত্বাবধানে, যার কর্তৃত্বে যারা আছে তাদের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহী করতে হবে।
আমি অফিসের বস, তাহলে অফিসে যারা আমার অধীনস্ত, তাদের ব্যাপারে আমাকে জবাবদিহী করতে হবে। এই জবাবদিহীতা থেকে বাঁচার জন্য আমার অধীনস্ত লোকদেরকে নামাজের কথা বলতে হবে ৷ দীনের উপরে চলার জন্য বলতে হবে ৷ অন্তরের জয়বা নিয়ে, মনের দায়িত্ববোধ নিয়ে তাদেরকে বলতে হবে ৷ এরপরে যদি তারা না মানে, তার জন্য আমি দায়ী হব না।
কিন্তু দায়িত্ববোধ নিয়ে বলতে হবে। যিনি কোন এলাকার এম পি, চেয়্যারম্যান, তাকে তার এলাকার লোকজনের ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে। যিনি কোন এলাকার মেয়র বা কমিশনার, তাকেও তার এলাকার লোকদের ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হবে। সারকথা যার ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বের পরিধি যতটুকু, তাকে সেই পরিমাণে জবাবদিহী করতে হবে।
শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷