জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ৷ সুপ্রিয় পাঠক! সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা ৷ অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান কবুতর পালন করা জায়েজ কিনা? জালালি কবুতর পালন খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে? এরকম অনেক প্রশ্ন আমাদের কাছে করে থাকেন ৷ এমনকি কেউ কেউ এমন কথা বলেন কবুতর পালন করলে নাকি রোগ ব্যাধি সারে না ৷ কবুতর পালন করলে নাকি অসুখ রোগ লেগেই থাকে ৷ এরকম উদ্ভট আরো অনেক কথাই তারা বলে থাকেন ৷ আমরা আজকে বর্তমান নিবন্ধে কবুতর পালন খাওয়া এবং জালালি কবুতর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করবো ৷ আপনাদেরকে এটাও জানাবো কবুতরের গোশত খেলে কি উপকার হয় ৷ শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন ৷

আরও পড়ুনঃ মৃত পিতামাতার জন্য করণীয় আমল

পাখি পালন কি জায়েয?

যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান ও যত্ন নিতে পারলে কবুতর ও অন্যান্য পাখি পালনে শরিয়তে কোন বাধা নেই ৷ হাদীসে এসেছে,

عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ أَحْسَنَ النَّاسِ خُلُقًا، وَكَانَ لِي أَخٌ يُقَالُ لَهُ أَبُو عُمَيْرٍ ـ قَالَ أَحْسِبُهُ فَطِيمٌ ـ وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَالَ ‏ “‏ يَا أَبَا عُمَيْرٍ مَا فَعَلَ النُّغَيْرُ ‏”‏‏.‏ نُغَرٌ كَانَ يَلْعَبُ بِهِ، فَرُبَّمَا حَضَرَ الصَّلاَةَ وَهُوَ فِي بَيْتِنَا، فَيَأْمُرُ بِالْبِسَاطِ الَّذِي تَحْتَهُ فَيُكْنَسُ وَيُنْضَحُ، ثُمَّ يَقُومُ وَنَقُومُ خَلْفَهُ فَيُصَلِّي بِنَا

আনাস রাযি. হতে বর্ণিত, নবীজী ﷺ সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়ের’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেন, হে আবূ ‘উমায়ের! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো। আর প্রায়ই যখন সালাতের সময় হতো, আর তিনি আমাদের ঘরে থাকতেন, তখন তাঁর নীচে যে বিছানা থাকতো, একটু পানি ছিটিয়ে ঝেড়ে দেয়ার জন্য আমাদের আদেশ করতেন। তারপর তিনি সালাতের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন। [বুখারী: ৬১২৯, মুসলিম: ২১৫০]

আর যথাযথভাবে খাদ্য প্রদান ও যত্ন না নিতে পারলে জায়েয হবে না। হাদীসে এসেছে,

عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ، قَالَ: «عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ، فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ، لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا، إِذْ حَبَسَتْهَا، وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ

ইবনে উমার রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘‘এক মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সে তাকে বেঁধে রেখেছিল এবং অবশেষে সে মারা গিয়েছিল, পরিণতিতে মহিলা তারই কারণে জাহান্নামে প্রবেশ করল। সে যখন তাকে বেঁধে রেখেছিল, তখন তাকে আহার ও পানি দিত না এবং তাকে ছেড়েও দিত না যে, সে কীট-পতঙ্গ ধরে খাবে।’’ [বুখারী: ২৩৬৫, ৩৩১৮, ৩৪৮২, মুসলিম: ২২৪২, দারেমী: ২৮১৪]

ইমাম নববী রহ. বলেন,

اتخاذ الحمام للفرخ والبيض، أو الأنس، أو حمل الكتب، جائز بلا كراهة

কবুতরকে ডিম এবং বাচ্চা ফুটানোর কাজে অথবা শখের জন্য অথবা চিঠিপত্র বহন করার জন্য পালন করা জায়িয। [মিরকাত ৮/৩২৬]

তবে তিনি বলেন,

وأما اللعب بها للتطير، فالصحيح أنه مكروه، فإن انضم إليه قمار ونحوه، ردت الشهادة

কিন্তু তা দ্বারা খেলাধূলা করা মাকরূহ। আর যদি কবুতর উড়িয়ে লটারী দেয়া হয় তবে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না। [মিরকাত ৮/৩২৬]

কেননা, আবূ হুরায়রা রাযি. হতে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিস পাওয়া যায় যে,

أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – رَأَى رَجُلًا يَتْبَعُ حَمَامَةً ، فَقَالَ : شَيْطَانٌ يَتْبَعُ شَيْطَانَةً

রসূলুল্লাহ ﷺ জনৈক ব্যক্তিকে দেখলেন, সে কবুতরের পিছনে দৌড়াচ্ছে [খেলা করছে]। তখন তিনিﷺ বললেন, এক শয়তান আরেক শয়তানের পিছনে ছুটছে। [আবূ দাঊদ ৪৯৪০]

উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বলেন,

إِنَّمَا سَمَّاهُ شَيْطَانًا لِمُبَاعَدَتِهِ عَنْ الْحَقّ ، وَاشْتِغَاله بِمَا لَا يَعْنِيه ، وَسَمَّاهَا شَيْطَانَة لِأَنَّهَا أَوْرَثَتْهُ الْغَفْلَة عَنْ ذِكْر اللَّه

তাকে শয়তান বলার কারণ হলো, সে সত্য পথ থেকে দূরে রয়েছে এবং কাজে ব্যস্ত রয়েছে যাতে কোন কল্যাণ নেই। আর তা আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল করছে এবং এমন কাজে ব্যস্ত রয়েছে যা তাকে দীন ও দুনিয়া অন্বেষণ থেকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছে। [আউনুল মা’বুদ সংশ্লিষ্ট হাদিস]

 

জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

সিলেটে হযরত শাহ্ জালাল (রাহঃ)-এর মাজারে যে কবুতর রয়েছে, তা জালালী কবুতর নামে পরিচিত এবং এই কবুতর এদেশে প্রায় সর্বত্রই দেখা যায়। প্রশ্ন হলো, উক্ত কবুতরের গোস্ত খাওয়া কি জায়েজ হবে?

অবশ্যই জায়েজ হবে, মহান আল্লাহ তা’য়ালা যা হালাল করেছেন তা হারাম মনে করা আল্লাহর বিধানের সাথে বিদ্রোহ করার শামিল। অনেকে বলে থাকেন যে, হযরত শাহ্ জালাল ইয়ামানী (রাহঃ) যখন সিলেট এলাকায় আগমন করেন, তখন তিনি দুটো কবুতর সাথে করে নিয়ে এসেছিলেন। সেই কবুতর দুটো থেকেই এদেশে উক্ত কবুতরের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে। হযরত শাহ্ জালাল (রাহঃ)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার কারণে কেউ কেউ উক্ত কবুতর খাওয়া হারাম মনে করে। এটা ঠিক নয়, কোনো মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কর্তৃক ঘোষিত হালাল যেমন হারাম মনে করা যাবে না এবং হারামও হালাল মনে করা যাবে না। কেউ যদি তা করে, তাহলে সে শক্ত গোনাহগার হবে ।

 

জালালি কবুতর পালন করা এবং খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধ আছে কি?

জালালি কবুতর বলতে আসলে কোনো কবুতর নেই। কবুতর পোষ্য প্রাণী। এগুলো পালন করা জায়েজ এবং খাওয়াও জায়েজ। যদি কেউ এটি পালন করতে চান, তাহলে পালন করা তার জন্য জায়েজ আছে। আর যদি কেউ এটি খেতে চান, তাহলে খেতে পারবেন- দুটোই জায়েজ রয়েছে।

জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?
জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

জালালি কবুতর খাওয়া কি হারাম?

একমাত্র হারামাইন তথা মক্কা ও মদিনায় কোন পশু-পাখি শিকার করা হারাম- এ মর্মে হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন স্থানের হালাল পশু-পাখি শিকার করা বা সেগুলোর গোস্ত খাওয়ার হারাম বলা-আল্লাহর হুকুমের ব্যাপারে ধৃষ্টতা প্রদর্শন ছাড়া কিছু নয়। কবর পুজারী, বিদআতি ও মূর্খ সুফি ছাড়া এমন কথা কেউ বলতে পারে না। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।

 

কবুতর খাওয়ার উপকারিতা

কবুতরের মাংস খুবই মজাদার। বিশেষ করে কবুতর ভুনা পাতে দেখলেই ঝে জল চলে আসে কমবেশি সবার। অনেকেই শখের বশে কবুতর পোষেন। আপনার এই প্রিয় পোষ্য পাখির মাংস স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো জানা নেই অনেকেরই!

কবুতরের মাংসের স্বাদ মুরগির মাংসের চেয়ে আরও সুস্বাদু। আকারে ছোট হলেও কবুতরের মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি। এতে থাকা প্রোটিনের মান ১০০ গ্রামে ১৭.৫ গ্রাম, যা গরুর মাংসের কাছাকাছি ১০০ গ্রামে ১৮.৮ গ্রাম।

এমনকি এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানও বেশি থাকে মুরগির মাংসের চেয়ে। একটি কবুতরের মাংসে আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন বি ১২ থাকে।

এসব উপাদান আমাদের মস্তিষ্ক ও ত্বকের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনকেও উন্নত করে। আবার কবুতরের মাংস দ্রুত রান্নাও করা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতাসমূহ-

 

কবুতরের বাচ্চার মাংস খাওয়ার উপকারিতা

আশা করছি আপনি ইতিমধ্যে কবুতরের মাংস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারনা পেয়ে গেছেন। প্রচুর পুষ্টিগুনের পাশাপাশি আরও কিছু বিশেষ উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১) পুষ্টি পরিপূরক
বিশেষজ্ঞদের মতে কবুতরের মাংস একটি ভালো খাদ্যের পাশাপাশি ভালো ওষুধও। এরে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কম চর্বি থাকায় এটি একটি ভালো পুষ্টিকর পরিপুরক। কবুতরের মাংস রক্তের লিপিড ও শর্করা বাড়ায় না।

২) রোগ প্রতিরোধক
কবুতরের মাংসে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন । যা আপনার শরীরের পুষ্টি চাহিদা পুরনের পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী। অস্ত্রপাচারের পর রোগীর ক্ষত পুনরুদ্ধার ও নিরাময়ে ভালো ভুমিকা পালন করে।

মধ্য বয়সী, বয়স্ক অসুস্থ, হাইপারলিপিডেমিয়া, কার্ডিওভাসকুলার এবং সেরিব্রোভাসকুলার রোগী, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কবুতরের মাংস বিশেষ উপকারি।

৩) স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও স্কিনের উন্নতি
কবুতরের মাংস পুষ্টিতে সমৃদ্ধ এবং এতে থাকা পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের উন্নয়ন ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি আপনার স্কিন বা ত্বকের সতেজতা আনয়নে বেশ কার্যকরী।

৪) লিভার কিডনি ও রক্তের উন্নয়ন
চাইনিজ চিকিৎসা বিজ্ঞান মতে কবুতরের মাংস লিভারের উন্নতি সাধন ও কিডনি শক্তিশালী করে। এছাড়াও রক্ত পুষ্ট করে তোলে ও শরীরের অন্যনায় তরল উপাদানের মান উন্নয়নে ভুমিকা পালনকরে। যা আপনাকে দীর্ঘ স্থায়ী অসুস্থতা ও শারীরিক দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেয় ৷

 

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয়

কোন জাতের কবুতর বেশি বাচ্চা দেয় আজকের আর্টিকেলটি হবে সেই সম্পর্কে। পৃথিবীতে প্রায় ১২০ জাতের কবুতর দেখা যায় তার মধ্যে বাংলাদেশে ২০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। এর মধ্যে গিরিবাজ কবুতর সব থেকে বেশি ডিম বাচ্চা করে থাকে। এই গিরিবাজ কবুতরের মধ্যে আবার অনেক জাত আছে এই জাতগুলো মূলত অনেক বেশি স্ট্রং হয়।

এছাড়া তারা অনেক বেশি এনার্জি ফুল হয়ে থাকে। সেজন্য তারা বেশি বেশি ডিম বাচ্চা করতে পারে। মূলত এই জাতের কবুতর তাদের বাচ্চা ছোট থাকা অবস্থায় তারা আবার ডিম দিয়ে থাকে। এরা সাধারণত বেশি উড়তে পারে তাই বিভিন্ন জায়গা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য শস্য এনে তাদের বাচ্চাদের কে খাওয়ায়। এতে করে বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়। এদিকে আবার ডিম থেকে আবার বাচ্চা বের হয়। এভাবেই তারা বেশি বেশি বাচ্চা দিয়ে থাকে।

গিরিবাজ কবুতর
জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ?

 

গিরিবাজ জাতের কবুতর চেনার উপায়

কবুতরের ডানাঃ ১। গিরিবাজ জাতের কবুরের ডানা সাধারণত গোলাকৃতির হয়ে থাকে।

কবুতরের লেজঃ গিরিবাজ জাতের কবুতর হাতে নিলে দেখা যাবে কিছু কবুতরের লেজ খুলে যাবে পুরো পুরি আবার কিছু কবুতরের লেজ বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যঃ গিরিবাজ কবুতরের সাস্থ্যের উপর কবুতরের উড়ার ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে থাকে।

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সাথে যুক্ত হতে ক্লিক করুন ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?
জালালি কবুতর পালন ও খাওয়া কি জায়েজ? ইসলামে কি কবুতর পালনে কোন নিষেধাজ্ঞা আছে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *