বক্তৃতা শেখার কৌশল | উপস্থিত বক্তৃতা কীভাবে দিবেন | ওয়াজ শেখা

বক্তৃতা শেখার কৌশল | উপস্থিত বক্তৃতা কীভাবে দিবেন | ওয়াজ শেখা

 

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ ৷ সুপ্রিয় পাঠক! আশা করছি কুশলে আছেন ৷ আজ আমরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলব ৷ বক্তৃতা শেখার কৌশল ৷ ওয়াজ শেখার টিপস নিয়ে আলাপ করব ৷ একজন ভালো বক্তা হওয়ার জন্য এবং একটি বক্তব্যকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর করার জন্য যেসব কৌশল প্রয়োজন ৷ আজকের বিস্তারিত তা নিয়ে অলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ ৷

বক্তৃতা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। অতীতে যারা বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের বক্তৃতা শুনেই মানুষ উজ্জীবিত হয়েছে ৷ জীবন বিলিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন কায়েম করতে হলেও সাধারণ মানুষের মন-মননে নাড়া দিতে হবে ৷ তাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে সাড়া জাগানাের জন্য উত্তমভাবে দীনের কথা পেশ করা উচিত।

কারণ যেকোনাে আদর্শের সাথে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে উক্ত আদর্শ প্রচারকদের বক্তৃতা মানুষের মন-মননে কতটুকু নাড়া দিতে পারে তা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ মানুষ তাত্ত্বিক বই পড়ে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয় না, তারা আদর্শ প্রচারকদের কথা শুনেই আদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয় ৷

বক্তৃতার মাধ্যমেই হাজারো মানুষকে মুহূর্তেই কনভিন্স করা যায় ৷ নিজের আইডলজি প্রচার করা যায় ৷ লক্ষ মানুয়ের কাছে নিজের চিন্তা প্রকাশ করা যায় ৷

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বক্তৃতা আল্লাহর দান[/box]

বক্তৃতা আল্লাহর দান
বক্তৃতা আল্লাহর দান

আল্লাহ তাআলা বক্তৃতার যােগ্যতা সকলকে সমানভাবে দান করেননি। কেউ সাধারণ একটি কথাও অল্প কথায়, মিষ্টি ভাষায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। আর কেউ অতি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে গিয়েও জড়তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। নবী-রাসূলদের ইতিহাস পর্যালােচনা করলে দেখা যায়, সকল নবীকে একই দীনের দাওয়াত দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় পাঠানাের পরও সকলের বক্তৃতা রাখার যােগ্যতা এক ধরনের ছিল না।

হযরত দাউদ (আ)-এর কথা শােনার জন্য মাছেরাও নদীর কূলে ভিড় জমাতাে। অপরদিকে হযরত মূসা (আ)-এর মুখের জড়তার কারণে আল্লাহ তাআলা তাঁর ভাই হারুন (আ)-কে তাঁর সহযােগী নবী করেন। হযরত মূসা (আ) তার জিহ্বার জড়তা দূর করার জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে দোআ করেছিলেন :

قال رب اشرح لی صدری -ویسرلی امری – واحلل عقدة من لساني- يفقهوا قولی۔
বলুন! আমার রব, আমার বক্ষ প্রসারিত করে দিন। আমার কাজগুলাে সহজ করে দিন এবং আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে ৷ [সূরা তােয়াহা: ২৫-২৮]

কুরআনে উল্লিখিত হযরত মূসার উপরিউক্ত দোআ থেকে বােঝা যায়, উত্তমভাবে দীনের কথা তুলে ধরার জন্য বক্তৃতা দেওয়ার চেষ্টা করা ভালাে, সুবক্তা হওয়া ভালাে গুণ।

আপনি এটিও পড়তে পারেনঃ পীর ধরা কি ফরজ? 

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]বক্তৃতাদানের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়[/box]

বক্তৃতাদানের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
বক্তৃতাদানের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

সালাম বিনিময় : বক্তৃতা শুরুর আগে সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে শ্রোতাদের বক্তার ভাবের বিনিময় হয়ে যেতে পারে। হাদীস অনুযায়ী কারাে সাথে কথা শুরুর সালাম বিনিময় হওয়া সুন্নাত।

আবেগময়ী ভাষায় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দেওয়া : বক্তৃতা বেশি দীর্ঘ করার চেয়ে সংক্ষিপ্ত অর্থবহ করা দরকার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা পেশ করতেন। তাঁর বক্তৃতা হতাে অতিশয় উদ্দীপনা দানকারী, যা শ্রোতাদের মনে আবেগ সঞ্চার করত। ফলে সাহাবায়ে কেরাম ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য উজ্জীবিত হতেন।

শ্রোতাদের মনোেযােগ থাকলেই কথা বলা : শ্রোতাদের মনােযােগের প্রতি খেয়াল রেখে বক্তৃতা দেওয়া উচিত। এ প্রসঙ্গে হযরত আলী (রা) বলেন :

ان للقلوب شهوات وإقبالا وإدبارا فاتوها من قبل شهواتها واقبالها فان القلب
“মানুষের মনের কিছু কামনা-বাসনা থাকে। আর কোনাে কোনাে সময় তা কথা শুনতে প্রস্তুত থাকে। আর কোনাে সময় প্রস্তুত থাকে না। তােমরা মানুষের মনের সেসব আগ্রহ ও ঝোঁক-প্রবণতার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করাে এবং তখনই তােমরা কথা বলাে, যখন সে শােনার জন্য প্রস্তুত থাকে। কারণ মনের অবস্থা হলাে যখন তার উপর জোর করা হয় তখন সে অন্ধ হয়ে যায়।”

শ্রোতাদের বয়স ও যােগ্যতার প্রতি লক্ষ্য রেখে কথা বলা : শ্রোতাদের বয়স ও যােগ্যতার প্রতি লক্ষ্য রেখে কথা বলা উচিত। এ কারণে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
كلموا الناس على قدر عقولهم.
“মানুষের সাথে তাদের বুদ্ধি অনুপাতে কথা বল।”

শ্রোতারা বিরক্ত হবে ভাবলে বক্তৃতা না দেওয়া : বক্তৃতা শােনার প্রতি আগ্রহ না থাকলে বক্তৃতা দেওয়া উচিত নয়। হযরত আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ প্রত্যেক বৃহস্পতিবার ওয়াজ নসীহত করতেন। জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, “হে আবু আব্দুর রহমান আপনি প্রতিদিনই ওয়াজ নসীহত করুন। আমি এটা চাই।” তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন ওয়াজ-নসীহত করা অপছন্দ করি। তিনি আরও বলেন :
إنى اتخولكم بالموعظة كما كان رسول الل صلى الله علي وسلم يتخولنا بها مخافة السامة علينا. متفق عليه

“আমি কয়েক দিন বিরতি দিয়ে তােমাদের নসীহত করে থাকি। যেমন রাসূলু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরতি দিয়ে আমাদের ওয়াজ নসীহত করতেন।” আমাদের বিরক্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি এরূপ করতেন।” (বুখারী ও মুসলিম)

প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলা, কঠিন শব্দ প্রয়ােগ না করা : শ্রোতাদের বােধগম্য ভাষায় কথা বলা এবং কঠিন শব্দ পরিহার করা উচিত। কেউ কেউ মনে করেন, খুব কঠিন শব্দ প্রয়োগ করলেই বক্তৃতা সুন্দর হয়, বিষয়টি তা নয়। শ্রোতারা কোনাে কথা বুঝতে অপারগ হলে বক্তৃতা শােনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম বলেছেন : يسروا ولاتعسرو وبشروا ولاتنفروا
সহজ করে দাও, কঠিন করে তুলাে না, সুখবর শােনাও, বিদ্বেষ ও ঘৃণার ভাব সৃষ্টি কর না।”

এই হাদীসের আলােকে বােঝা যায়, মানুষের সামনে সহজ ভাষায় আলােচনা পেশ করা উচিত।

মূল পয়েন্ট পুনর্ব্যক্ত করা : প্রত্যেক বক্তাই বক্তৃতা দেওয়ার সময় অনেক কথা বলেন। এর মধ্যে কিছু মূল পয়েন্ট থাকে, আর কিছু কথা মূল পয়েন্ট ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হয়। তাই বক্তৃতা শেষ করার আগে মূল পয়েন্ট পুনরায় ব্যক্ত করা ভালাে। তাহলে শ্রোতার মনে মূল কথা বদ্ধমূল হয়ে যায়। আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (স) সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা দিতেন এবং মূল কথা মাঝে মধ্যে তিনবার উচ্চারণ করতেন।
عن أنس كان البيبى صلى الله علي وسلم اذا تكلم بكلمة أعادها ثلاثا حتي تفهم عنه

“হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথা বলতেন তখন তিনবার পুনরাবৃত্তি করতেন, যেন মানুষ তাঁর কথা ভালােভাবে বুঝতে পারে।” (বুখারী)

উদাহরণ দেওয়া: শুধু তত্ত্বকথা বেশিক্ষণ শুনতে ভালাে লাগে না। এই কারণে বক্তব্যের মাঝে মধ্যে কিছু উদাহরণ দেওয়া ভালাে। উদাহরণ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত মানুষের মনে রেখাপাত করে। উদাহরণ থেকে মানুষ সহজেই শিক্ষা নিতে পারে। আমরা মহগন্থ আল কুরআন অধ্যয়ন করার সময় দেখতে পাই যে, আল্লাহ তাআলা কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় উদাহরণ দিয়ে অনেক কথা বলেছেন। আল্লাহর রাসূল সাহাবীদের সামনে নসীহত পেশ করার সময় উদাহরণ, কাহিনী, ঘটনা, কৌতুক অথবা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে বক্তৃতা বােঝাতেন। কখনও কখনও বিপরীত কথার সাথে তুলনা করে ভালাে ও মন্দের পার্থক্য ভালােভাবে বােঝাতেন।

শ্রোতাদের অংশীদার করা : আলােচনায় শ্রোতাদের মাঝে মধ্যে অংশীদার বানানাে । এতে তাদের মধ্যে মনোেযােগ বেশি থাকে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বক্তৃতা দেওয়ার সময় শ্রোতাদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করতেন। হজ্জের ভাষণে উপস্থিত জনতাকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি দীনের দাওয়াত সঠিকভাবে পৌছিয়েছি” সকলেই জবাব দিয়েছেন, হ্যা। আপনি যথাযথভাবে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করেছেন।

বর্তমানেও অনেক বক্তাকে শ্রোতাদের হাত উঁচিয়ে বক্তব্যের সমর্থন আদায় করতে দেখা যায়।

সকলেই শুনতে পায় এমন আওয়াজে কথা বলা : জনসভা, সেমিনার, সিম্পােজিয়াম সাধারণত লাউড স্পিকার থাকে। আবার কখনও কখনও ছােট হলরুমে প্রােগ্রাম হলে বিশেষত ছাত্রছাত্রীদের একাডেমিক প্রেজেন্টেশানের সময় লাউড স্পিকার থাকে না। এই ধরনের প্রােগ্রামে সকলে শুনতে পায় এমন আওয়াজে কথা বলা দরকার। তবে স্বর চিৎকার করে কথা বলা কিংবা মুখের ভেতর কথা রেখে নিম্নস্বরে কথা বলা ঠিক নয়। কারণ, এটা শ্রোতাদের কাছে ভীষণ খারাপ লাগে।

আল্লাহ তাআলা স্বয়ং খুব চিৎকার করে কথা বলার নিন্দা করে বলেছেন : ان انكر الاصوات لصوت الحمير “নিশ্চয়ই গাধার আওয়াজই হলাে সবচেয়ে কর্কশ।” (সূরা লুকমান : ১৯)

মহানবীর গলার আওয়াজ খুব বড় বা ক্ষীণ ছিল না। তিনি মধ্যম পর্যায়ের আওয়াজে কথা বলতেন। তিনি পুরাে বক্তৃতা পরিষ্কারভাবে পেশ করতেন। তিনি যখন কথা বলতেন তখন বাক্যগুলাের শেষ বর্ণ পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে শােনা যেতাে। প্রয়ােজনমাফিক তার আওয়াজ উঠানামা করতাে। সুতরাং তার কথায় অসাধারণ আকর্ষণ সৃষ্টি হতাে। তাঁর কথার মধ্যে কোনাে কৃত্রিমতা ছিল না।

অনর্থক কথা না বলা : আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বক্তৃতা দেওয়ার। সময় প্রয়ােজন পরিমাণ কথা বলতেন, শব্দ চয়ন করতেন। তিনি অনর্থক বা অপ্রয়ােজনীয় কোনাে কথা বলতেন না। এজন্য আমাদেরকেও কথা বলার সময়, বক্তৃতা দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।

বডি ল্যাঙ্গুয়েজ : আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যের মধ্যে যে ধরনের প্রভাবপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে চাইতেন, সর্বপ্রথম তার প্রভাব নিজের মধ্যে উপলব্ধি করতেন। তাঁর অনুরূপ অবস্থার প্রভাব শ্রোতাদের মধ্যে রেখাপাত করতাে। আল্লাহর নবীর চেহারা-অবয়ব, জযবা, বাচনভঙ্গি, কণ্ঠস্বরের উঠানামা ও শব্দ কিংবা বাক্যের প্রতি জোর দেওয়ার মাধ্যমে বক্তব্যের গুরুত্ব শ্রোতাদের হৃদয়পটে অঙ্কিত হয়ে যেতাে।

নিদর্শন উপস্থাপন ও বাস্তব উদাহরণ পেশ করা: আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বক্তৃতা দেওয়ার সময় এমন নিদর্শন পেশ করতেন যেন অদেখা জিনিসও শ্রোতাদের চোখের সামনে ভাসতো। তিনি অনেক সময় হাত ও আঙ্গুলের ইশারা করে বােঝাতেন, আবার কখনও বাস্তব উদাহরণ পেশ করতেন। যেমন নামায কীভাবে পড়তে হবে, বসতে হবে, খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েই শেষ করেন। বাস্তবে করে দেখিয়েছেন।

মাটিতে রেখা অঙ্কন : আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কথা বােঝনাের জন্য মাঝে মধ্যে মাটিতে চিহ্ন ও রেখা অঙ্কন করতেন। সে সময় বর্তমান সময়ের মতাে এত প্রযুক্তি ছিল না। তাই আল্লাহর রাসূল বক্তৃতা বােঝানাের মাটিতে রেখা অঙ্কন করতেন। এ থেকে বােঝা যায়, বক্তৃতা শ্রোতাদের হৃদয়ঙ্গম করানাের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।

[box type=”shadow” align=”” class=”” width=””]উপস্থিত বক্তৃতা দেয়ার নিয়ম[/box]

বক্তৃতা শেখার কৌশল | উপস্থিত বক্তৃতা কীভাবে দিবেন | ওয়াজ শেখা
বক্তৃতা শেখার কৌশল | উপস্থিত বক্তৃতা কীভাবে দিবেন | ওয়াজ শেখা

আমরা উপরে যে পয়েন্টগুলো উল্লেখ করেছি সে পয়েন্টগুলো ভালোভাবে নোটেড করুন ৷ এবং এ বিষয়গুলো আয়ত্ত করুন ৷ এবার আপনার মন মগজে বদ্ধমূল হল একটি বক্তৃতা চমৎকার এবং সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য যা যা প্রয়োজন ৷ সবগুলো বিষয় আপনার মাথায় সেট করে নিন ৷ এবার আপনাকে উপস্থিত বক্তৃতা দেয়ার জন্য যা করতে হবে ৷

উপস্থিত বক্তৃতার ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় নিতে হবে আপনি কাদের সামনে কথা বলছেন ৷ আর প্রোগ্রামটা কি উপলক্ষে? কি উদ্দেশ্যে? আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাদের প্রচুর উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয় ৷ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ৷ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ৷ রাজনৈতিক প্রোগ্রাম এবং আরো অসংখ্য অনুষ্ঠানে তাদের বক্তৃতা করতে হয় ৷ সে ক্ষেত্রে তারা যেই পরিবেশে যান সেই পরিবেশের সাথে সমন্বয় করে কথা বলেন ৷ আপনাকেও এই কৌশলটি রপ্ত করতে হবে ৷

আপনি কোথায় উপস্থিত বক্তৃতা করছেন ৷ কাদের সামনে করছেন ৷ আপনাকে এসব বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কথা বলতে হবে ৷

শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের আর্টিকেলগুলো ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করে হাজারো মানুষের কাছে তা পৌঁছে দিতে পারেন ৷ আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকলে তাও জানাতে পারেন ৷ নিচের কমেন্ট বক্সে লিখতে পারেন নির্দ্বিধায় ৷ আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন ৷ জাযাকাল্লাহ খাইরান ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *